করছেন না সাংবাদিক সম্মেলন, নীরবে ছাড়তে পারেন দল- জানাচ্ছে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠমহলে সূত্রে জানা গিয়েছিল ৬ ডিসেম্বর সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন শুভেন্দু অধিকারী। তা নিয়েই ক্রমশ পারদ চড়ছিল জঙ্গলমহল থেকে শুরু করে গোটা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে।

কী বলতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী? তাহলে আজকেই কি নিতে চলেছেন কোনো বড় সিদ্ধান্ত? সেই সমস্ত কিছু নিয়েই ক্রমশ তোলপাড় চলছিল দলের অন্দরে। আচমকাই তাতে জল ঢেলে দিলেন শুভেন্দু ।

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে কোন সাংবাদিক সম্মেলন তিনি করবেন না। কারণ তিনি যা বলার আগেই বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানিয়ে দিয়েছেন। নতুন করে আর কোন কিছু বলার নেই। তাহলে প্রশ্ন, এবার কি শুধুমাত্র অপেক্ষা শুভেন্দুর দল ছাড়া সময়ের অপেক্ষা?

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরেই শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্রে শোনা যাচ্ছিল যেকোনো মুহূর্তে বিধায়ক পদ ছাড়তে পারেন দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তা নিয়ে স্পষ্ট ভাবে কোনো পক্ষই কোনো মন্তব্য করেননি।

অরাজনৈতিক সভা থেকে একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দেওয়ার পর মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। ছাড়েন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং হুগলি ব্রিজ কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ।

তিনি জানিয়েছিলেন শুধুমাত্র বিধায়ক হয়ে কাজ করবেন। তবে শুভেন্দুকে দলে রাখতে মরিয়া চেষ্টায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদরা।  সেই মোতাবেক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতিতে উত্তর কলকাতায় গোপনে বৈঠক করেন শুভেন্দু।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/rajib-banerjee-poster-festun-in-kolkata/

বৈঠক শেষে সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমে জানান, দলে থেকে একসঙ্গে কাজ করার কথা হয়েছে। ও দল ছাড়বে না। তাতে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়েছিল শাসকদলের একাংশের।  বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রণে ভঙ্গ দেন শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দেন একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। কারণ কোন সমস্যার সমাধান হয়নি। উল্টে জোর করে তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এই মন্তব্যের পর শুভেন্দুর প্রসঙ্গে কড়া সিদ্ধান্ত নেয় দল । স্পষ্ট বার্তা দেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  জানিয়ে দেন শুভেন্দুকে নিয়ে আর কোনো আলাপ-আলোচনা করে সময় নষ্ট করতে রাজি নয় তৃণমূল। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে লড়াই করতে প্রস্তুতি শুরু করে দেন তারা।

৭ তারিখ মেদিনীপুরে জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই হয়তো শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবেন এমনটাই ভেবেছিলেন সকলেই। কিন্তু সেটা না করে শুভেন্দু নীরবে থেকে গেলেন।

আর তাতেই অনেকে মনে করছেন সাংবাদিক সম্মেলন করে নয় বরং নীরবে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে বিধায়ক পদ ছাড়তে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

অন্যদিকে, শুক্রবার জেলা সভাপতিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছিলেন দলে থেকে দলবিরোধী কাজ যারা করছেন অবিলম্বে তাদের দল থেকে বের করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম নাম উঠে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার। আর জেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব বর্তেছিল বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীর উপর।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bimal-gurung-comeback-on-siliguri-by-road/

শনিবারই তাতে এক কদম এগিয়ে যায় দল। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক, নন্দকুমার, কাঁথি ২ নম্বর, ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকে সভাপতি পদে বদল করা হয়। নন্দকুমারের ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় সুকুমার বেরাকে।

অন্যদিকে কাঁথি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় উত্তম বারিককে। ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন শশাঙ্ক শেখর জানা।

রাজনৈতিক মহলের মতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্যই এই রদবদল। কারণ ওই চারজনই ছিলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ। এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সুপার বদল করে প্রশাসন।

তৃণমূল বনাম শুভেন্দু নাটকের শেষ ক্লাইম্যাক্স কি হয়, আপাতত তারই অপেক্ষায় রাজ্য বাসী।

সম্পর্কিত পোস্ট