কৃষকদের ডাকে ভারত বনধকে নৈতিক সমর্থন মুখ্যমন্ত্রীর, পালন ও প্রতিরোধে শামিল হবে না তৃণমূল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই রাজ্যে বনধ রাজনীতির বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমতা আসার পর থেকে তৃণমূল কোনওদিন কোনও বনধ ডাকেনি।
কিন্তু এবারে মোদি সরকারের কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের ডাকা বনধকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁরা রাস্তায় নেমে বনধ পালন করবেন না। তবে তৃণমূল রাস্তায় নেমে এই বনধের বিরোধিতাও করবে না।
মনে করা হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার রাজ্যের জনজীবন থমকে যেতে পারে। বনধের সমর্থনে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। এবার তৃণমূল যদি বনধের সরাসরি বিরোধিতায় না নামে তাহলে বাংলার জনজীবন স্তব্ধ হতে বাধ্য।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/late-actor-manu-mukherjee/
কোনও রাজনৈতিক দলের ডাকা বনধে রাজ্যের জনজীবন যাতে বিপর্যস্ত না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে তৃণমূল। রাস্তায় যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারি ও বেসরকারি বাস থেকে সেদিকে যেমন সরকার নজর দিয়েছে। তেমনি সরকারি ও বেসরকারি অফিস-কাছারি, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় যাতে খোলা থাকে সেই দিকেও নজর দিয়েছে।
চালু রাখা হয়েছে ট্রেন, মেট্রো, ট্রাম ও লঞ্চ বা ফেরি সার্ভিসও। সেই সঙ্গে দলের তরফে আমজনতা যাতে সেই বনধের সমর্থন না করেন সেই দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-ima-continues-to-promote-awareness-in-the-state-of-covid-control/
রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা যাতে বনধের দিনেও অফিসে হাজিরা দেন তার জন্যও এতদিন পর্যাপ্ত নির্দেশিকাও নিয়ম করে প্রতিটি বনধের আগেই জারি করেছে সরকার। কিন্তু এবারে তা কী হবে!
এতদিন যে ভাবে বনধের বিরোধিতা করা হয়েছে সরকারের তরফে। আগামী মঙ্গলবার কী সেই ছবিই দেখা যাবে? এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরছে রাজ্য রাজনীতিতে।
তৃণমূল সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, এবার সম্ভবত এত কড়াকড়ির পথে হাঁটবে না শাসক শিবির। এবারের বনধে তাদের কী ভূমিকা থাকে সেটাই দেখার।