জানুয়ারী বা ফেব্রয়ারীতেই হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হবেঃ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বঙ্গে একুশের বিধানসভা ভোটে যে  কোনো মূল্যেই বাজিমাত করতে চায় বিজেপি। তাই ধর্মীয় বিভাজনের তাসই এখন গেরুয়া শিবিরের ট্রামকার্ড।  ফের একবার তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্য বিজেপির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

রবিবার রেড রোডে দলের এক সভা থেকে মতুয়া সম্প্রদায় ও বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তু হিন্দুদের ফের ‘টোপ’ দেন তিনি। বলছেন, ‘একটু ধৈর্য ধরুন। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করা হবে। আপনারা নাগরিকত্ব পাবেন। মাথা উঁচু করে বাঁচবেন।’ একই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির আর এক নেতা মুকুল রায়ের গলাতেও।

উল্লেখ্য শনিবার, বারাসতে দলীয় কর্মসূচি ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে বঙ্গ বিজেপির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক অবশ্য জানুয়ারির মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালুর কথা জানিয়েছিলেন।

সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন রেড রোডে বাবা সাহেবের মূর্তির পাদদেশে এক সভার আয়োজন করেছিল রাজ্য বিজেপির এসসি মোর্চা। সভায় মূলত মতুয়া ও বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তু সম্প্রদায়ের লোকজনই উপস্থিত ছিলেন।

লোকসভা ভোটের আগেই বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা দেশের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তার পরে প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও নাগরিকত্ব মেলেনি। ফলে কিছুটা হলেও ক্ষোভ জন্মেছে। সেই ক্ষোভ প্রশমনে ফের নাগরিকত্ব দেওয়ার টোপ দিতে শুরু করেছেন।

এদিনের সভা থেকে দিল্লির উপকণ্ঠে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের ব্যঙ্গ করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে খালিস্তানি জঙ্গিদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ করে তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।

কৃষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোয় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘কৃষি নীতি দ্বিচারিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন তিনি, সেই আইন বাংলায় আগে থেকেই রয়েছে।’

বঙ্গের কুর্সি দখলে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্যে একের পর এক ভিন রাজ্যের দলীয় নেতাদের পাঠাতে শুরু করেছেন। আর গেরুয়া শিবিরের এমন কৌশলকে বিঁধতে বহিরাগত তত্ত্ব তুলে ধরে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/chief-ministers-message-of-unity-on-solidarity-day/

এদিন তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ প্রচারের জবাবে বঙ্গ বিজেপির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কিছুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহিরাগত বলা হচ্ছে। তাহলে যে সব রোহিঙ্গা মুসলিম এখানে সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে, তারা কে হয়? অনুপ্রবেশকারীরা এসে অশান্তি করছে, তারা বহিরাগত নয়?’

এদিন নাম না করে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নিশানা করেছেন কৈলাস।

কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘রাজ্যে বাবাসাহেব অম্বেডকরের সংবিধান চলে না, চলে ভাইপোর। কুর্সি দিদির হলেও ভাইপোর রাজ চলছে। ভাইপোর চশমা ২৫ লাখের, জুতো ৭৫ হাজারের, আর দিদির জুতো ৭৫ টাকার।’

আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পাবে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাংলায় ২০০-র বেশি আসন পাবে বিজেপি। যদি না হয় তাহলে বিজেপির কোনও রাজনৈতিক মূল্য থাকবে না।’

সম্পর্কিত পোস্ট