মুখ্যমন্ত্রীর সফরের দিনেই রাজীবের পোস্টার ঠাকুরনগরে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বুধবার ঠাকুরনগরে জনসভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঠিক তার আগেই গাইঘাটার ঠাকুরনগর এলাকায় কাটআউট পড়ল বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে। ‘কাজের মানুষ, কাছের মানুষ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে রাজীবকে।

বুধবার সকালে ঠাকুরনগর স্টেষন এলাকায় দুটি ব্যানার দেখতে পাওয়া যায়। পোস্টার পড়ে ঠাকুরনগর বাজার, সবেদা তোলা এবন চিকনপাড়া সহ একাধিক এলাকায়।

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জল্পনার মাঝেই উঠে এসেছে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। অর্থাৎ জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনিও যে পিছিয়ে দেই তা প্রমান হচ্ছে বারবার।

এর আগে হাওড়া, কলকাতা ছাড়াও বাঁকুড়া জেলার একাধিক জায়গায় বনমন্ত্রীর নামে পড়ে পোস্টার। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে উত্তর ২৪ পরগণায় নতুন করে পোস্টার পড়ায় শুরু হয়েছে জল্পনা।

গত শনিবার একটি অরাজনৈতিক সভা থেকে ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য, দলের স্তাবকতা করতে পারলে নম্বর বেশী পাওয়া যায়। আমি ভালকে খারাপ এবং খারাপকে ভালো বলতে পারি না। আমি স্তাবকতা করতে পারিনি তাই আমার নম্বর কম। সেদিন থেকেই রাজ্যের মন্ত্রীকে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।

তবে কি শুভেন্দুর পথই অনুসরন করতে চলেছেন তিনি? প্রশ্ন ওঠে রাজনৈতিক মহলে।

এরপরেই কলকাতার একাধিক জায়গায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে পোস্টার পড়তে শুরু করে। পোস্টার পড়ে ডোমজুড়ের বাজার এলাকায়, শলপে দেখা যায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/jp-nadda-will-visit-vabanipur-and-diamonda-harbor/

বনমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজীব ভালো ছেলে। কাজের ছেলে। আগামী দিনের তৃণমূলের ভালো মুখ। এত হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মাথার ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এতেই খানিকটা বল পেয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবী, আমফানের সময় নিজের হাতে বাঁধ নির্মাণ করতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নিশ্চয় উনি সম্মান পাচ্ছেন না।

তৃণমূলের একাংশের মতে, দলের ভালো চাইছেন বলেই অনেকে দল নিয়ে কথা বলছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, শুধুমাত্র নিজের বিধানসভা ডোমজুড় নয়, হাওড়া শদর সহ গ্রামীণ এলাকাতেও বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে তরুণ নেতার।

এবার একাধিক জেলাতেও জনপ্রিয়তা দেখা দিয়েছে রাজীবের। তাই নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও দল তিনি ছাড়ছেন না। স্পষ্ট করেছেন রাজীব। শুধু ইশারায় বলে গেলেন, “ধীরে ধীরে দেখো হোতা হেয় কেয়া”।

সম্পর্কিত পোস্ট