কৃষক আইন বোঝাতে এবার প্রচারে নামছে বিজেপি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তিনটি কৃষি আইন প্রত্যহার না করা অবধি বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন পার করেছে ১৫ দিন। এবার কৃষি আইনের সমর্থনে মাঠে নামছে গেরুয়া শিবির। প্রায় ৭০০ টি জেলায় ১০০ টি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি সূত্রের খবর, কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে উপস্থিত হবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সদস্যরাও।

কেন্দ্রের দাবী, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেশের দুই তিনটি রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে আরও বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা বন্‌ধে দেশজুড়ে কৃষকদের তরফে সেভাবে সাড়া মেলেনি। তাই কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবীতে এখনই হাঁটতে চাইছে না কেন্দ্র। কৃষি আইন বোঝাতে সরাসরি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলবে বিজেপি নেতৃত্ব। সমস্ত প্রশ্ন এবং শুনবেন তাঁরা।

তিন আইনে বেশ কিছু সংশোধনের জন্য সরকার রাজি, একথা আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। পাশাপাশি কৃষকদের আন্দোলনের ইতি টানতে একাধিক প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি কৃষকরা। বরং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাই ঘোষণা করেছেন তাঁরা। এখনও অবধি সরকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি জানিয়েছে কেন্দ্র। যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তা বিবেচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে রাজি কেন্দ্র। কিন্তু আইন প্রত্যাহারের দাবীতে অনড় রয়েছেন কৃষকরা। জানান কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক কৃষক সংগঠনগুলির

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এবং রেল মন্ত্রী পী্যুষ গোয়েল জানিয়েছেন, কোনও আইন পুরোপুরি খারাপ হতে পারে না। আমাদের প্রস্তাব কৃষকদের কাছে পাথানো হয়েছে। কিন্তু কৃষকদের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত পাঠানো হয়নি। আমরা মিডিয়ার কাছ থেকে জানতে পেরেছি তাঁরা প্রস্তাব খারিজ করেছে। আমি গতকালই বলেছি কৃষকদের সঙ্গে প্রস্তাবগুলি নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্র প্রস্তুত। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে উত্তর পেতে চলেছি। কেন্দ্রের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি আশাবাদী একটা সমাধান সূত্র বের হবে। আমি কৃষকদের কাছে আর্জি জানাবো তাঁরা যেন আন্দোলন তুলে নেন। কেন্দ্রের পাঠানো প্রস্তাব নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি কেন্দ্র। আন্দোলনের ফলে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে দিল্লির মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান কৃষি মন্ত্রী।

 

পাল্টা কেন্দ্রের সমস্ত প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। জয়পুর-দিল্লি, জয়পুর-আগ্রা সড়কপথ অবরোধ করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনের নেতারা। সেইসঙ্গে ১২ ডিসেম্বর সমস্ত টোল প্লাজা গুলিতে ধর্না দেবেন কৃষকরা। ১৪ ডিসেম্বর দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। সমস্ত বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদের অফিস ঘেরাও করে এই আন্দোলন চালানোর কথা জানানো হয়েছে। এমনকি আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর করতে রেলরোকো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।

বয়কট করা হয়েছে রিলায়েন্সের সমস্ত দোকান, মল, পেট্রোল পাম্প এবং মোবাইল কানেকশান জিও। এখনও অবধি কৃষক আন্দোলনে বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছেন। এরপরেও সরকার চুপ করে আছে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে কংগ্রেস।

সম্পর্কিত পোস্ট