দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে অবরুদ্ধ করে বৃহৎ আন্দোলনের পথে কৃষকরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শনিবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামল আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি। এদিন দিল্লি জয়পুর সীমান্ত অবরুদ্ধ করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। কৃষকদের আন্দোলনকে প্রতিহত করতে দিল্লি সীমান্তে মোতায়েন কয়েক হাজার পুলিশ। সারা দেশে টোল প্লাজায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা।
অন্যদিকে কৃষি আইনের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ৩২ টি কৃষক ইউনিয়ন। আন্দোলনকে ‘অতিবাম’ তকমা দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
শনিবার কৃষকদের আন্দোলনকে প্রতিহত করতে গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদ সীমান্তে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্বরাজ ভারত প্রধান যোগেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, রাজস্থান থেকে কৃষকরা আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন। হরিয়ানারও কিছু কৃষক আন্দোলনে শামিল হবেন। রবিবার সাড়ে দশটা নাগাদ দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তাঁরা।
প্রায় ৭০০ ট্রাক্টর এই মুহুর্তে দিল্লির কুন্দলী সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসছে। অমৃতসরে বিক্ষোভরত কৃষকরা এবার দিল্লির দিকে ধীরে ধীরে রোনা দিচ্ছেন বলে কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর সারা দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। ওই দিন হবে রেল রোকো কর্মসূচী। সেকারণেই শনিবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের নূন্যতম সহায়ক মূল্য না দিলে পদত্যাগের হুঁশিয়ারী হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রীর
অন্যদিকে শুক্রবার কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার সুপ্রিম দ্বারস্থ হন কৃষক সংগঠনগুলি। তাঁদের সাফ দাবী তিনটি কৃষি আইনকেই বাতিল করতে হবে কেন্দ্রকে। এবিষয়ে আদালতের তরফে কেন্দ্র সরকারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে দেশের প্রায় ৭০০ টি জেলায় পাল্টা কৃষক আইনের সমর্থনে প্রচার অভিযান শুরু করতে চলেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, প্রচারে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার কথা শোনা যাচ্ছে।
একইসঙ্গে কৃষক আন্দোলনকে অতিবাম আন্দোলনে পরিণত করার অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন কৃষকরা। কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে, আমরা সরকারের অভিযোগ মানি না। আমাদেরকে কেউ প্রভাবিত করতে পারে না। কিশান ইউনিয়নগুলির নেওয়া সিদ্ধান্ততেই আমরা হাঁটছি।
এর আগে একাধিকবার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে কেন্দ্র। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। কেন্দ্রের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নেমেছে কৃষকরা। শনিবার ১৬ দিনে পড়ল দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন। সারা দেশ থেকে শামিল হয়েছে কয়েকলক্ষ কৃষক। শুক্রবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌটালা জানিয়েছেন, সরকার এমএসপি সুনিশ্চিত না করলে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি।