কেন্দ্রের ডেপুটেশনে তিন আইপিএস অফিসারের বদলি, আপত্তি কল্যাণের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রের ডেপুটেশনে তিন আইপিএস অফিসারের বদলির নির্দেশ দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার।
তিন আইপিএস অফিসারের নাম প্রবীণ ত্রিপাঠী, রাজীব মিশ্র এবং ভোলানাথ পান্ডে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে জেপি নাড্ডার নিরাপত্তার ব্যাপারে এই তিন উচ্চপদস্থ অফিসারকে সরাসরি দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু তাঁদের গাফিলতির কারণে জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা করা হয়েছে। তাই কেন্দ্রের ডেপুটেশনে বদলি করা হচ্ছে।
শনিবার এই চিঠি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার তরফে রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে। সরকারীভাবে এখনও অবধি চিঠির কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি নবান্ন। আইপিএস অফিসারদের বদলির তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ ডিজি ও সিপিকে এভাবে ডেকে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থীঃ কল্যাণ
তৃণমূল সাংসদ বলেন, বাংলায় পরোক্ষে জরুরী অবস্থা জারি করতে চাইছে কেন্দ্রও। আইএএস এবং আইপিএস অফিসারদের ভয় দেখানো হচ্ছে।
একই ঘটনায় এর আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু বৈঠকে অব্যহতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দেন ডিজিপি এবং মুখ্যসচিব। সেই বিষয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি লেখেন, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তা নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে কিভাবে রাজ্যের দুই অফিসারকে তলব করা হল? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সংবিধান অনুসারে তা করা যায় কিনা সেবিষয়েও রাজ্যকে প্রশ্ন করেন তিনি। ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে দাবী তৃণমূল সাংসদের।
১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের পরামর্শে আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারকে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু সরাসরি দিল্লি হস্তক্ষেপে তিন আইপিএসের বদলি এই প্রথম।
বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার দলীয় কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র আকার নেয় ডায়মন্ড হারবার। বিজেপির একাধিক নেতৃত্বের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। গোটা বিষয়টি কেন্দ্র এবং রাজ্যের। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলা অধিকার নেই। দাবী বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের।