আসন থেকে টেনে সরিয়ে দেওয়া হল ডেপুটি চেয়ারপার্সনকে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার চলছিল বিধান পরিষদের একদিনের জরুরী অধিবেশনের কার্যাবলি। কিন্তু হঠাৎ-ই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ডেপুটি চেয়ারপার্সন ভৌজেগড়াকে টেনে হিঁচড়ে একেবারে উৎখাত করে দেওয়া হল। মুলতুবি ঘোষণা করতে ছুটে আসতে হল চেয়ারপার্সন কেপি শেট্টিকে। মঙ্গলবার কর্ণাটকের এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই আলোচনা শুরু হয়েছে সারা দেশজুড়ে।

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ডেপুটি চেয়ারপার্সন ভৌজেগড়ার ওপর চড়াও হন সভার সদস্যদের একাংশ। তাঁর আসন ঘিরে রয়েছেন কংগ্রেসের বেশ কিছুজন সদস্যরা। এরপর কিছুজন তাঁকে টেনে আসন থেকে তুলে দেন।

গত সপ্তাহে বিধান পরিষদে গো-হত্যা বন্ধের বিল এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা সরকার। কিন্তু সেবার বিধান পরিষদে ব্যাপক অশান্তি তৈরি হয়। বিধান পরিষদ মুলতুবি ঘোষণা করেন চেয়ারপার্সন শেট্টি। পরে গো-হত্যা বন্ধের বিল পাশ এবং গো সংরক্ষণের দাবীতে একদিনের অধিবেশন ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবী এদিন চেয়ারপার্সন শেট্টির অপসারনের দাবীতে জরুরী অধিবেশনের ডাকে রাজ্যের বিজেপি সরকার।

বিরোধীদের দাবী, একা জেডিএসের পক্ষে শেট্টিকে চেয়ারপার্সন পদ থেকে সরানো সম্ভব নয়। তাই মঙ্গলবার অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ভৌজেগৌড়াকে। বর্তমানে বিজেপির ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার দল। অভিযোগ উঠছে এমনই। অথচ একসময় কর্ণাটকে জেডিএস এবং কংগ্রেসের মিলিত সরকার ছিল।

 

এদিন বিধান পরিষদে বিল গো-হত্যা বন্ধের বিল নিয়েই আলোচনা চলছিল। বিধান পরিষদে এই নিয়ে আলোচনার আগে গো-মাতার পুজা করে বিজেপি। কর্ণাটকের বিধান পরিষদে এই মহুর্তে বিজেপির তুলনায় জেডিএস এবং কংগ্রেসের নিলিত বিধায়কের সংখ্যা বেশী। সরকার পক্ষের আনা এই বিলে সমর্থন করা যাবে না ঠিক করে বিরোধী পক্ষ। কিত্নু সময় গড়াতেই তাল পাল্টে যায়। সরকারের সমর্থন করে বসে জেডিএস। এর আগে জমি সংরক্ষণ আইনে বিজেপিকে সমর্থন করে তাঁরা।

কংগ্রেস সদস্য প্রকাশ রাঠোর জানিয়েছেন, এদিন বেল বাজা মাত্রই অসাংবিধানিকভাবে চেয়ার দখল করে নেন ডেপুটি চেয়ারপার্সন। কংগ্রেসের সদস্যরা তাঁকে উঠে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় জোর করে তুলে দেওয়া হয়। এরপর চেয়ারপার্সন এসে মুলতুবি ঘোষণা করেন। সংবিধানের হত্যা করতে চাইছে বিজেপি। তাঁর সাহায্য করছে জেডিএস। এটা কর্ণাটকের সংবিধানের কালো দিন বলে দাবী করেন কংগ্রেস নেতা।

পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যানের ওই আসনে বসার কোনও অধিকার নেই। তাই আমরা ডেপুটি চেয়ারম্যানকে ঐ আসনে বসার জন্য অনুরোধ করি। কংগ্রেস যা করেছে তা অতি লজ্জাজনক বলে দাবী করেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট