১০ বছর সুবিধা নিয়ে ভোটের আগে দলবদল! কড়া বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ উত্তরবঙ্গ সফরের প্রথমদিনেই জলপাইগুড়িতে জনসভায় নাম না করে বিদ্রোহীদের বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি বলেন, “১০ বছর ধরে যারা শাসকদলের ছত্রছায়ায় থেকে সব সুযোগ-সুবিধা তাঁরাই ভোটের আগে বোঝাপড়া করে বিরোধিতা করছে”। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই ধরনের অনিয়ম তিনি একেবারেই বরদাস্ত করবেন না।
এদিন জলপাইগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভার ঘন্টাখানেক আগেই হলদিয়া সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেও তৃণমূলের নাম না করে একের পর এক কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। দক্ষিণে শুভেন্দু সভা শেষ হওয়ার পরেই উত্তরবঙ্গের সভা থেকে দলের বিদ্রোহীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন মমতা।
“এত উন্নয়ন তা সত্ত্বেও লোকসভায় কেন কোনও আসন পেলাম না? কী অপরাধ করেছি?” উত্তরবঙ্গ সফরে জলপাইগুড়ির জনসভায় দাঁড়িয়ে স্থানীয় ভোটারদের প্রশ্ন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, দার্জিলিংয়ের সমস্যার সমাধান করতে পারবে একমাত্র তৃণমূল। এবার আর জগাই-মাধাই-গদাই নয়, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআইএমকে এদিন অং-বং-সং বলে আক্রমণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
লোকসভার নির্বাচনে তৃণমূলের হারের ইতিহাস মুছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভালো ফলের আশাও এদিন প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/deputy-chairperson-dragged-from-his-chair-in-karnataka/
তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআইএম একসঙ্গে কাজ করছে। রামকৃষ্ণ কথামৃত লেখা ছিল অং-বং-সং। এই তিনটি দলও তাই। এরা সকালে উঠে আমাকে গালি দিতে শুরু করে। ২০১৪ সালের ভোটে বলেছিল জিতলে ৭টি চা বাগান খুলে দেবে। কিন্তু খোলেনি। ২০১৯ লোকসভাতে উত্তরবঙ্গ থেকে একটাও আসনও পায়নি তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সব কাজ করে দেওয়া হয়েছে। একটা লোক ৮ বছরে আর কতটা করতে পারে! করোনার জন্যে একবছর নষ্ট। যা বাকি, সবাই দুয়ারে সরকারে কাছে যান। পেয়ে যাবেন”।
প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখে না বিজেপি। চা বাগান খুলবে বলেও খোলেনি। বিজেপি চাকরির ফর্ম বিলি করছে। কেন্দ্রে ২ কোটি চাকরির কথা বলেছিল বিজেপি। দুই লক্ষও দেয়নি। আর এখন ফর্ম বিলি করছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট টানার চেষ্টা করেছে। এতোদিনে পাহাড়ের মানুষ তাদের বুঝে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিইনি বলে ভোট পায়নি। তবে দার্জিলিং সমস্যার সমাধান করতে পারে একমাত্র তৃণমূলই।”
এরপর মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। বলেন, জলপাইগুড়ি জেলায় উত্তরকন্যা, সার্কিট বেঞ্চ আছে। বেঙ্গল সাফারিটাও জলপাইগুড়িতে তৈরি হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে করে দেওয়া হচ্ছে।’
জলপাইগুড়িতে সভার থেকে হেলিকপ্টারে কোচবিহারের উদ্দেশে যান তিনি। পরের দিন কোচবিহারে সভা করবেন মমতা। বৃহস্পতিবার কলকাতা ফিরবেন তিনি।