ঘাসফুলে ভাঙন! অমিত শাহের হাত ধরে পদ্মাসনে শুভেন্দু, সঙ্গে একঝাঁক তৃণমূল নেতৃত্ব
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আজকের দিনটি অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার কারণ ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন শুভেন্দু অধিকারী। সেইসঙ্গে এক ঝাঁক তৃণমূল বিধায়ক, জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ কর্মী-সমর্থকরা। আর যারা প্রত্যেককেই নিজেকে দাদা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।
বাংলার রাজনৈতিক মহল শুভেন্দু অধিকারীর পালাবদল দেখবে তা কোনদিন ভাবেনি। কিন্তু সম্ভাবনার শিল্প হচ্ছে রাজনীতি। তাই বাঙালির কল্পনাতেও যা আসেনি তা বাস্তবে সম্ভব হল।
শুভেন্দু অধিকারী সহ কারা যোগ দিলেন আজকের সভায়-
- বনশ্রী মাইতি, উত্তর কাঁথির তৃণমূল বিধায়ক
- দিপালী বিশ্বাস, গাজলের তৃণমূল বিধায়ক
- সুনীল মন্ডল, পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ
- শীলভদ্র দত্ত, ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক
- সৈকত পাঁজা, মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক
- বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, কালনার তৃণমূল বিধায়ক
- সুকরা মুণ্ডা, নাগরাকাটার তৃণমূল বিধায়ক
- সুদীপ মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক
- অশোক দিন্দা, তমলুকের সিপিআই বিধায়ক
- তাপসী মণ্ডল, হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক
- দশরথ তিরকে, প্রাক্তন সাংসদ
- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী
- ইন্দ্রজিৎ দত্ত, হুগলির তৃণমূল নেতা
- কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী
- সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা, প্রাক্তন কাউন্সিলর
- গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর গোপাল মিশ্র
- সমীরণ মিশ্র
- পারভেজ রহমান
- আলমগির মোল্লা
- কবিরুল ইসলাম
- কদম হোসেন খান
- রমাপ্রসাদ গিরি
- কাবেরী চট্টোপাধ্যায়
- দুলাল মণ্ডল
- স্নেহাশিস ভৌমিক
- রঞ্জন বৈদ্য
- আকাশদীপ সিনহা
- দেব মহাপাত্র, কাকদ্বীপ
- সুকুমার দাস, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী
- বিজেপিতে যোগ দিলেন ৬ জন সংখ্যালঘু নেতা। মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভা থেকেই নতুন পথ চলা শুরু করবেন তাঁরা।
লকডাউনের পরবর্তী সময় থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা তিনি করে গিয়েছেন দলীয় পতাকা ছাড়াই। গুঞ্জন উঠেছিল হয়তো দলের ওপর ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিষয়টি যে এতো গুরুতর হয়ে উঠবে তা বোধহয় কেউ কল্পনাও করেনি।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/who-will-join-bjp-today/
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে বসে টেলিফোন মারফত কথা বলে বারবার দূরত্ব মিটিয়ে নেবার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে তা মেটেনি।
বৈঠক হওয়ার পর অন্য সুরে কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যাতে কার্যত বিরক্ত হয়ে পড়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অগত্যা ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সমস্ত রকম কথা বলা বন্ধ করে দেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
তার আগেই অবশ্য ২৭ নভেম্বর মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। জল্পনা ছিল তিনি হয়তো মন্ত্রিত্বে থাকছেন না, কিন্তু দলে থাকবেন। আজ সেই জল্পনায় ইতি টেনে বিজেপি নেতা হয়ে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারী।