আজকের দিনেই বাংলাকে ব্রিটিশের হাতে তুলে দিয়েছিল মীরজাফর, শুভেন্দুকে কটাক্ষ তৃণমূলের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ শুভেন্দুর এই পালা পরিবর্তনকে মেনে নিতে পারছেন না। অনেকেই বলছেন শুভেন্দু অধিকারী ‘মীরজাফর’ । কাকতালীয়ভাবে যদি আজকর দিনটা ইতিহাসের পাতায় দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে আজকের দিনে মীরজাফর বাংলাকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিয়েছিল।

সে রেফারেন্স টেনেই নাম না করে এক তৃণমূল নেতা বলছেন, শুভেন্দু যা করল তাতে শুভেন্দুকে মীরজাফর ছাড়া অন্য কিছু বলাই যায় না। শুভেন্দুর আচরণে ক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থক এবং অনেক অনুগামীও।

এক বাক্যে সকলেই বলছেন মেদিনীপুরের মাটি বিপ্লবের। এই মাটি সংগ্রামের। সেই মাটিতে বিপ্লবের সংজ্ঞাই বদলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম দুর্গে পতন ঘটিয়ে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের হাল ধরেছিলেন সেখানে অন্যতম ভূমিকা ছিল নন্দীগ্রাম আন্দোলনের।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অধিকারী পরিবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে গিয়েছিলেন। এক তৃণমূল নেতার কথায়,  একচ্ছত্র রাজত্ব চালিয়েছেন অধিকারী পরিবার মেদিনীপুরের মাটিতে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shuvendu-adhikari-joins-bjp-at-medinipur-amit-shah-public-meeting/

তৃণমূল কংগ্রেসের অধিকাংশ কর্মীরাই অভিযোগ করে বলছেন, দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দু অধিকারী ও গোটা অধিকারী পরিবারকে বরাবর সামনের সারিতে রাখার জন্য অনেককেই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগাধ বিশ্বাস এবং ভরসা করতেন শুভেন্দু অধিকারীকে। ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন মুকুল রায়। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর আজ একই পথে পা বাড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। বলছেন শুভেন্দুর অনুগামী বলে যারা পরিচিত ছিলেন তাদেরই একাংশ।

তৃণমূল কর্মীদের কথায়, যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে মীরজাফরের মত বিজেপিতে গিয়ে ভোটের আগে যোগদান করলেন তারা আদৌ বিজেপিতে সম্মান-গুরুত্- প্রার্থীপদ পাবেন তো ? একই সঙ্গে তাদের আরও প্রশ্ন জনগণ আর তাদের বিশ্বাস করবে তো?

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/who-will-join-bjp-today/

এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা নেই। এ প্রশ্নের উত্তর কারোরই জানা নেই । ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন কোন দিকে যাবে সেটা আমজনতার উপর নির্ভর করবে। হয়তো এমনও হতে পারে আজ যারা দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে চলে গেলেন বিজেপিতে, কাল হয়তো তারাই আবার বিজেপির প্রতি ক্ষোভ উগরে ফিরে এলেন পুরনো দলে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল বিষ্ণুপুরের বর্ষীয়ান বিধায়ক তুষার কান্তি ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে ।

শুভেন্দু অধিকারীর মর্যাদা বিজেপিতে হবেই এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কিন্তু বাকিরা যারা শুভেন্দু অধিকারীর মতাদর্শে বিশ্বাস করে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন তাদের অবস্থা কি হবে? সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন?

সম্পর্কিত পোস্ট