ভোটের আগে নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত, গুরুঙের সভা ঘিরে সাজো সাজো রব পাহাডে
দ্য কোয়ারি ওয়েববডেস্কঃ উৎসবের মরশুমের শেষে নতুন বছরের প্রারম্ভে হাওয়া বদলাতে শুরু করেছে পাহাড়ে৷ পাহাড়ে কোলে হিমেল বাতাস এক ধাক্কায় তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রিতে নামিয়ে নিয়ে গেছে।
শীতের আমেজ সঙ্গে নিয়ে করোনাকে দূরে ঠেলে পর্যটকরা রওনা দিয়েছেন পাহাড়ের সঙ্গে দেখা করতে। সেইসঙ্গে চুটিয়ে উপভোগ করতে পাহাড়ের আমেজ।
এসবের মাঝেই রাজনৈতিক চর্চায় ভোটের আগে গরম হচ্ছে পাহাড়। যার নিউক্লিয়াসে রয়েছে বিমল গুরুং৷ টানা তিন বছর ধরে অধরা থাকার পর শেষমেশ ধূমকেতুর মত উদয়। মোর্চা সু্প্রিমোর আবির্ভাবেই বদলাতে শুরু করল পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ।
৩ বছর পর আজ পাহাড়ে ফিরছেন বিমল গুরুং। ফিরেই যোগ দেবেন জনসভায়। যাকে কেন্দ্র করে টানটান রাজনৈতিক উত্তেজনা। একদিকে সমতলে যখন শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন, তখন পাহাড়ে গুরুঙের সভায় জনসমাগম কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে শাসকদলকে। অন্তন এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/humanity-above-politics-salute-to-the-chief-minister/
দার্জিলিঙের চকবাজারে সভা করবেন বিমল গুরুং।স্থানীয় মোর্চা নেতৃত্বরা জানাচ্ছেন, শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ে ওঠার সময় ৩২ টি জায়গায় সম্মান প্রদান করা হবে মোর্চা প্রধানকে। গুরুঙের কনভয়ের সঙ্গে আরও ৪০০ টি গাড়ি এদিন পাহাড়ে উঠবে। প্রায় হাজার চল্লিশেক মানুষ উপস্থিত হবেন এই সভায় মনে করছেন স্থানীয় মোর্চা নেতৃত্বরা।
স্থানীয় এক মোর্চা নেতা জানাচ্ছেন এখন থেকে পাহাড়ে থেকেই নিজের রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাবেন গুরুং।
মহাপঞ্চমীর এক বিকেলে নিজের অন্তর্ধান পর্বের অবসান ঘটিয়েছিলেন বিমল গুরুং। বললেন মোদি নয়, দিদির ওপর ভরসা রাখতে চাইছেন তিনি।
তারপর থেকে তিনি গোর্খা জনমুক্তির কোন অংশে রয়েছেন? তাঁর সঙ্গে অন্য অংশের সম্পর্ক কীরকম? তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। আবার কেউ বলেছেন বিমল গুরুং ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’।
স্বতন্ত্র গোর্খা আন্দোলনকে সামনে রেখে যে ভোটব্যাঙ্ক বিজেপি নিজেদের ঝুলিতে পুড়েছিল, নির্বাচনের পর তা বাইপাস করে বেরিয়ে গেছে। উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় জোট ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বিমল। আপাতত এটাই প্রধান কারণ।
কানাঘুষো কতগুলি প্রশ্ন এড়িয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিমল গুরুংয়ের রাজনৈতিক ভোলবদল বিশেষজ্ঞদের আসন অঙ্ক কষায় ব্যস্ত করেছে৷ প্রাথমিক স্তরে যে প্রশ্ন উঠছে তবে কি পাহাড় সহ উত্তরবঙ্গে দলের ডুবো নৌকাকে তুলতে চাইছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়?
কারণ পাহাড় সহ তরাই অঞ্চলে নেপালী ভোটের সংখ্যা বেশী। সঙ্গে রয়েছে আদিবাসী ভোটও। ২০১৭ এর অগ্নিগর্ভ দার্জিলিং হিমশীতল হওয়ার পর জিটিএর চেয়ারম্যান পদে বিনয় তামাংকে আনা হয়। তা সত্ত্বেও পাহাড়ে আসল বাহুবলী থেকে যান বিমল।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/politics-or-potatoes-whose-price-is-higher-before-the-election/
কিন্তু মূল স্তরে যে একাধিক প্রশ্ন উঠছে তা হল, এতদিন ধরে কোথায় গা ঢাকা দিয়ে বসেছিলেন বিমল? কোথায় বসে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের অঙ্ক কষছিলেন তিনি?
এই ঘটনার পিছনে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের হাত থাকলেও বকলমে পুরো ক্রেডিট যায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দিকে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, যদি শেষমেশ মমতার সঙ্গে হাত মেলাতেই হল তাহলে ২০১৭ এর ঘটনার কি প্রয়োজন ছিল? যদিও এসব প্রশ্নকে আপাত ভাবে দূরে সরিয়ে সমতলের ক্লাইম্যাক্স মিটিয়ে রাজ্যবাসীর নজরে বিমল গুরুঙের সভা।