দলবদলে অবাক হইনি, এই ধরনের খুচরো নেতা চলে যাওয়ায় কোনও ক্ষতি হবে না: সুব্রত

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পরের দিনই তাঁকে নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

রবিবার তিনি সাংবাদিক বৈঠকে মেদিনীপুরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ও অমিত শাহের করা একের পর এক উক্তির পাল্টা যুক্তি দিলেন। তিনি বলেন, ‘কিছু খুচরো চলে যাওয়ায় কোনও ক্ষতি হবে না।’

রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, এই অসুখ মীরজাফরদের আমল থেকে চলে আসছে।
সুব্রত বলেন, ‘শুভেন্দুর দলবদলে অবাক হইনি। এই ধরনের খুচরো চলে যাওয়ায় কোনও ক্ষতি হবে না।

এদিন পঞ্চায়েতমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়ে দেন, ‘বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীকে দলে নিয়ে ভাবছে, বাংলা দখল হয়ে গেছে। এমন, যেন ২৫০ আসন জিতে গেছে। ভাগ্যিস বলেনি, ৩০০ আসন পাবে। শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলে তৃণমূলের মতো বড় রাজনৈতিক দলের কিছু এসে যায় না। আমাদের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপরে বাংলার মানুষ ভরসা করে। তাতেই আমরা নিশ্চিত, ক্ষমতায় থাকব।’

তিনি যোগ করেন, ‘যাঁরা নিজের দলকে পিছন থেকে ছুরি মারে তারা বড় জায়গায় আসতে পারে না। এই বিশ্বাসঘাতকদের বাংলার মানুষ চিনে নেবে।’

তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন দলবদল করেনি। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাকে দলবদল বলে না। অমিত শাহর মতো একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেটা জানা উচিত ছিল। তিনি তৃণমূল তৈরির তথ্য বিকৃত করছেন। কেন্দ্রের দু-নম্বর লোক হয়ে কীভাবে ভুল তথ্য দিচ্ছেন জানি না। বারবার বাংলায় এসে একটা দল যদি তৃণমূলকে অপমানজনকভাবে উপেক্ষা করার চেষ্টা করে তা হলে আমরা অবশ্যই প্রতিবাদ করব।’

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/new-political-chemistry-in-darjeeling/

এরপর সুর চড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, যাঁরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চেনে না, জানে না, তারা বাংলা দখল করতে আসছে। রবীন্দ্রনাথের ছবিকেও অবমাননা করা হচ্ছে। তৃণমূল রাজ্যজুড়ে এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার প্রতিবাদ জানাবে।

সুব্রত মুখোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, কেন্দ্র নাকি বাংলাকে ধান, শস্য দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের কর্মীরা সেই ধান, শস্য রাজ্যবাসীকে দেয়নি। নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে। কিন্তু আসল সত্যি অন্য। মমতার সরকার রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। মহামারীর সময় দেশের কোনও রাজ্য সরকার মানুষের জন্য এমন ব্যবস্থা করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, মমতার সরকার যেটা করেছে তা ভারতের ইতিহাসে লেখা থাকবে। কেন্দ্র দাবি করেছে, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা তারা বাংলার জনগণকে দিতে চেয়েছে। কিন্তু তৃণমূল নাকি রাজ্যে তা চালু করতে দেয়নি। এই রাজ্যে দেড় কোটির বেশি মানুষ বার্ষিক ৫ লাখ টাকা করে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়েছেন। তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে ছিল না।’

সম্পর্কিত পোস্ট