দিল্লির গাজিপুর সীমান্ত অবরুদ্ধ করে আন্দোলনে কৃষকরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার দিল্লির গাজিপুর সীমান্ত অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করলেন কৃষকরা। সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ে। এদিন সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে দিল্লি থেকে গাজিয়াবাদের যাতায়তের পথ। দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। ঘুরপথে যাচ্ছে যানবাহন।
সোমবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসুচীতে অংশগ্রহণ করে রিলে অনশনে বসেছেন কৃষকরা। সোমবার সকাল ১১ টা থেকে ২৪ ঘন্টা অবধি ১১ জন কৃষকরা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। সেইসঙ্গে বুধবার কৃষক দিবস উপলক্ষে দিনের একটি অনশনের জন্য সারা দেশের কৃষকদেরকে আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান চলাকালীন থালা বাজিয়ে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
Delhi: Protesting farmers block Ghazipur (Delhi-Ghaziabad) border completely.
Traffic from Delhi towards Ghazipur & Ghaziabad on Delhi-Meerut Expressway affected as both side carriageways closed for traffic. pic.twitter.com/jHMkpQJIch
— ANI (@ANI) December 22, 2020
এরই মধ্যে মঙ্গলবার ফের গাজিপুর সীমান্ত অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেছে কৃষকরা। রাস্তার ওপরেই ট্রাক্টর ঘিরে আন্দোলনে বসেছেন কৃষকরা। দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়েতে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ। নিজামুদ্দিন খাট্টা, অক্সরধাম এবং গাজিপুর চক দিয়ে ঘুরপথে গাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে সোমবার প্রায় ৪০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে টিকরি বর্ডারে উপস্থিত হলেন পাঞ্জাবের এক কৃষক। পাঞ্জাবের ফারিদকোট জেলা থেকে আসা ওই কৃষকের নাম পাল সান্ধু। এই মুহুর্তে দিল্লি-হরিয়ানা বর্ডারে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। নাসিক থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বৃহৎ অংশের কৃষক।
ভারতীয় কিশান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকায়িত জানিয়েছেন, আমরা এখনও অবধি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর তরফে বৈঠকের চিঠি পাইনি। যতদিন অবধি তিন কৃষক আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততদিন অবধি আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রায় একমাস হতে চলল আন্দোলন। সরকার সমঝোতায় এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদী তিনি।
আরও পড়ুনঃ সোমবার থেকে রিলে অনশনে বসছেন কৃষকরা
এদিন গাজিপুর আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কারোর অসুবিধা করছি না। শুধুমাত্র কৃষকরা নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। কৃষক আইনের বিষয়ে নিজেদের বাড়িতেও আলোচনার আর্জি কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রায় ২৭ দিনের মাথায় পড়ল দিল্লি সিমান্তে কৃষকদের আন্দোলন। একাধিকবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে কোনও সুরাহা দেখতে না পাওয়ার পরেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকরা। হাড়কাঁপানো ঠান্ডাতেও আন্দোলন টিকিয়ে রাখছেন তাঁরা। অন্যদিকে কমিটি গঠন করে কৃষকদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এজন্য সরকার এবং কৃষককে উভয়কেই সমঝোতার জন্য এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে।
গত কয়েকদিনে আন্দোলনরত বেশ কিছু কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার তাঁদের উদ্দেশ্যে আন্দোলনস্থল থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন কৃষকরা।