অমিত শাহের মধ্যাহ্ন ভোজনের পর বাউল শিল্পীকে ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুই দিনের বীরভূম সফরে এসে রতনপল্লির বাউল পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের পরেই বদলে গেল ছবি। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের সভায় দেখা গেল বাসুদেব বাউলকে। জেলা সভাপতির পাশে বসে তিনি বললেন নিজের অভাব অভিযোগের কথা। ২৯ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শোতে গান গাইতে চান তিনি।
এর পরেই শিল্পী এবং ছেলের সঙ্গে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, ১০ বছরে তৃণমূলের বাসুদেব বাউলের কথা মনে পড়েনি। অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজের পরেই তা মনে পড়ল। এর থেকে প্রমাণিত হল সমাজের হতদরিদ্র মানুষগুলির দুঃখ-কষ্ট সনাক্তকরণে বিজেপিই সবথেকে এগিয়ে। অমিত শাহের মধাহ্ন্যভোজনের পর যদি এরকম কিছু পরিবার তৎক্ষণাৎ সাহায্য পায়। এরকম মধাহ্ন্যভোজন আগামী দিনে আরও হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সিঙ্ঘু বর্ডারে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করল তৃণমূল, পাশে থাকার আশ্বাস মমতার
তৃণমূলের মঞ্চ থেকে বাসুদেব বাউল বলেন, আমি নিজে রেশনের চাল খাই। কিন্তু ওইদিন অমিত শাহ আসবেন বলে টাকা পয়সা খরচ করে বাজার করেছিলাম। কিন্তু খেয়ে দেয়ে চলে গেলেন তিনি। কোনও কথা বলেননি। আমার মেয়ের ডিএডর কথা বলতে চেয়েছিলাম। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শোতে গান করতে চেয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল বলেন, আমি যখন শুনলাম সমস্যার কথা ব্যবস্থা করব। ডিএড করতে দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয় আমি বিনা পয়সায় করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
যদিও গোটা ঘটনায় বিজেপির মন্তব্য, জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাউল শিল্পীকে। কিন্তু বাসুদেব বাউল জানিয়েছেন তিনি নিজের ইচ্ছায় তৃণমূলের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বীরভূম সফরের পর দুই দিনের বীরভূম সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৮ তারিখ প্রশাসনিক বৈঠকের পর ২৯ ডিসেম্বর অমিত শাহের পাল্টা বোলপুরে রোড শো করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।