সঙ্গীতমেলার মঞ্চ থেকেও বিভাজনের বিরুদ্ধে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা আতঙ্কে ভুগছে শহর। করোনা আতঙ্কের মাঝেই বুধবার উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে উদ্বোধন হলো বাংলা সঙ্গীত মেলার। আর সংগীত মেলার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেও ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংগীত দুনিয়ার মানুষদের বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আর্জি জানালেন তিনি। বললেন, ‘পৃথিবীর সবথেকে বড় সম্প্রতির জায়গা হল সঙ্গীত,সঙ্গীতের মঞ্চ কখনও বিভাজন করে না। আপনারাই পারেন বিভাজন রুখতে। কখনোই বাংলায় বিভাজন হতে দেবেন না’।
এ দিন নাম না করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলার যতই নিন্দা করুন। রাজ্যকে গুজরাট বানাতে দেব না।’
বুধবার আলিপুরের উত্তীর্ণতে সংগীত মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, বনশ্রী সেনগুপ্ত, দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়দের নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তিনি। কীভাবে তাঁদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর, তাও তিনি এদিনের মঞ্চে তুলে ধরেন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/without-shishir-adhikari-there-is-no-place-for-suvendu-in-politics/
কুর্ণিশ জানান বাংলার প্রতিভাদের। নিজেদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে বাংলার নাম উজ্জ্বল করার পরামর্শ দেন মমতা। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানেই সংগীত মেলার উদ্বোধন হয়।
এ দিন এই মঞ্চ থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ‘বাংলার বিভাজনের কোনও স্থান নেই। ধর্ম আলাদা হলেও মানুষ একই। গোটা মানবজাতি একটা পরিবার।’ আর বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংগীত জগতের মানুষকে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঞ্চ থেকে মমতার তোপ, ‘যতই বাংলার বদনাম করার চেষ্টা হোক বাংলার আশেপাশে কেউ আসতে পারবে না। বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না।’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘সংগীত যেমন নানা রঙের সমাহার নানা যন্ত্রের ব্যবহার তেমনই জীবনের নানা রঙ। এটাই বৃহত্তর মানবজাতির পরিচয়। একে ভাগ হতে দেব না।’
এদিন মঞ্চে পাহাড় থেকে জঙ্গলমহলের লোকপ্রসার শিল্পীদের সম্মানিত করলেন সঙ্গীত সম্মানে। এমনকী, সাঁওতাল শিল্পী বাসন্তি হেমব্রমকে সঙ্গীত সম্মানে ভূষিত করে তাঁর সঙ্গে মঞ্চে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকডাউনে শিল্পীদের দুর্দশার কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/jammu-and-kashmir-a-grenade-attack-by-terrorists/
বলেন, মহামারীর জন্য ক’মাসস কোনও অনুষ্ঠান করতে পারেননি। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ৬৩০টি মেলার আয়োজন করছে রাজ্য সরকার। সেখানে তাঁর অনুষ্ঠান করতে পারবেন।’ পাশাপাশি, সরকারি কর্মসূচিতে শিল্পীদের বেশি সময় দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এদিন উদ্বোধনের পর আজ অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে কলকাতার ১০টি মঞ্চে ‘বাংলা সঙ্গীতমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের সঙ্গীতমেলায় কলকাতার ১০টি মঞ্চে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি সঙ্গীতশিল্পী,সঞ্চালক, যন্ত্রশিল্পী অংশগ্রহণ করবেন। এই সঙ্গীতমেলায় কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন।