কাঁথি পুরসভার পুরপ্রশাসক পদ থেকে অপসারিত সৌমেন্দু অধিকারী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে বিতর্ক এখনো পিছু ছাড়েনি। এরই মাঝে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পথ থেকে অপসারণ করা হলো বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই অধিকারী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। আর সেই সন্দেহ থেকেই সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারণ করা হলো পুরপ্রশাসকের পদ থেকে।

শুভেন্দু অধিকারী দল ত্যাগের পর কাঁথিতে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনের জনসভায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন শিশির অধিকারী। তবে দিব্যেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারীর কেন উপস্থিত ছিলেন সে বিষয়ে কোন সদুত্তর মেলেনি অধিকারী পরিবারের তরফে।

ফলে তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক ধোঁয়াশা।  তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীর পথেই পা বাড়াচ্ছে গোটা অধিকারী পরিবার?  তা নিয়েই জোরালো রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল মেদিনীপুর ছাড়িয়ে গোটা বাংলার বুকে। যতই অধিকারী পরিবার মুখে বলুন না কেন তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলেই রয়েছেন, বাস্তবের চিত্র অন্য কথা বলছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/speculation-about-jitendra-again-he-said-on-facebook-that-he-is-at-the-tmc/

রাজনৈতিক জল্পনার মধ্যেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী ও হস্তশিল্প মেলার সমন্বয় তিন দিনের বাংলা মোদের গর্ব অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন তমলুকের সংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি সোমবার সেই মঞ্চ থেকেই রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের প্রশংসা শোনা যায় সাংসদের গলায়। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে আগামী নির্বাচনে অধিকারী পরিবারের ভূমিকা নিয়ে

ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে অধিকারী পরিবার নিয়ে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি গোটা অধিকারী ফ্যামিলিকে কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ। বাদ যাননি বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীও।

বিভিন্ন জনসভায় এবং বিজেপির একাধিক কর্মকাণ্ডে উপস্থিত থেকে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী পরিবার তন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে তাতে পাল্টা অধিকারী পরিবার নিয়েই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে ।

অনেকেই বলছেন শুভেন্দু অধিকারী যদি পরিবারতন্ত্রের বিপক্ষে হন তাহলে নিজের পরিবারে ৩৫ টি পদ নিয়ে একুশ বছর ধরে কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতি করলেন? যদিও তর্ক বিতর্ক এবং তর্জার মাঝে কোন মন্তব্য করেননি অধিকারী পরিবারের কোন সদস্য।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে বঙ্গ রাজনীতিতে এখন জল মাপার খেলা চলছে। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই পরিষ্কার হয়ে যাবে আসলে অধিকারী পরিবার কোন শিবিরে রয়েছে । তবে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে রাজি নন তৃণমূলের একাংশ।

তারা বলছেন, অধিকারী পরিবারের অবস্থান কোনোভাবেই কোনো প্রভাব ফেলবে না শাসক শিবিরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ক্যারিশমাতেই ফের মেদিনীপুরের ঘরে জোড়া ফুল ফুটাতে সক্ষম হবেন। একইসঙ্গে একুশে পশ্চিমবঙ্গের কুরশি তৃণমূলের দখলে থাকবে।

একুশে নির্বাচনের ফলাফল কি হবে, কোন পক্ষ জয়ী হবে, কার হাতে থাকবে আগামীর ভবিষ্যৎ- পরিষ্কার হবে সঠিক সময়ই।

সম্পর্কিত পোস্ট