বিজেপিতেই রয়েছেন তিনি, স্পষ্ট করলেন শান্তনু ঠাকুর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান নিজেই করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেই স্পষ্ট করলেন মতুয়া মহাসংঘের নেতা শান্তনু ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন বিজেপিতেই রয়েছেন তিনি। অন্য কোনও দলে তিনি যাবেন না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আসা। তার জন্য আমি আমার সরকারের কাছে একাধিকবার অনুরোধ করেছি। তা বলে এই নয়, যারা এই আইনের বিরোধিতা করছেন তাঁদের সঙ্গে তিনি হাত মেলাতে রাজি নন।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, আগামী মাসেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা সফরে এসে ঠাকুরনগরে উপস্থিত হবেন। সেখানে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে সিএএ নিয়ে বক্তব্য রাখবেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট করবেন সিএএ নিয়ে তিনি কি পদক্ষেপ নেবেন।
এর আগে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বনগাঁর বিজেপি সাংসদকে। এমনকি শান্তনুর ক্ষোভ প্রশমনে তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/jyotirmoy-mahato-met-suvendu-adhikari-family-at-shantikunja/
সূত্রের খবর, সেদিনের আলোচনায় শান্তনুকে দলবিরোধী কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কিন্তু তাও যেন শান্তনুকে নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর থেমে থাকেনি। এরই মধ্যে শান্তনুকে তৃণমূলে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এমনকি তৃণমূলের আসার কথা জেনে স্বাগত জানান প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। সব জল্পনায় আপাতত জল ঢেলে দিলেন বিজেপি সাংসদ।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বিরাট অংশের ভোট নির্ভর করে ঠাকুর পরিবার এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের ওপর। আর সেই মতুয়া ভোটের ওপর বিশেষ নজর পড়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির। গত লোকসভা নির্বাচনে মতুয়ারা শান্তনু ঠাকুরকে জয়ী করে বিজেপিকে জায়গা করে দিয়েছিলেন।
তারপর থেকেই বিশেষ নজর দিয়েছেন ঘাস্ফুল শিবিরও। মতুয়াদের জন্য একাধিক সরকারী সুবিধা থেকে শুরু করে কমিটি গঠন করার প্রস্তাব জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি মতুয়ারা সকলেই এদেশের নাগরিক সেটাও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
একদিকে যখন মতুয়াদের নিয়ে রাজ্যের শাসক দল একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন পিছিয়ে থাকেনি কেন্দ্র। বুধবার রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে মুকুল রায় বলেন, মতুয়াদের সঙ্গে রাজনীতি করেছে বাম-তৃণমূল। শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/corona-virus-new-strain-found-in-kolkata/
এছাড়া আর কোনও সুবিধা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র নাগরিকত্ব বিষয়েই নয়, বনগাঁর ঠাকুরনগর স্টেশনকে বড়ো প্লাটফর্মে পরিণত করার জন্য রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সব মিলিয়ে মতুয়াদের নাগরিকত্ব থেকে শুরু করে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুরকে কতটা গুরুত্ব দেবে বিজেপি। সেই দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।