তৃণমূল বিজেপির লড়াইয়ের মাঝে আসরে নামছে বাম-কংগ্রেস
শুভজিৎ চক্রবর্তী
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভাকে ফোকাসে রেখে মাঠে নেমেছে বিজেপি এবং তৃণমূল। বাংলার নির্বাচনে দুই ফুলের লড়াইয়ের মধ্যেই আলোচনার নিউক্লিয়াসে নিজেদেরকে রাখতে চাইছে বাম-কংগ্রেস। তাই ব্রিগেডে বামেদের মঞ্চে থাকতে পারেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। আনুষ্ঠানিক সংকেত না মিললেও এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন নীচুতলার কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু এই জল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হবে তা প্রশ্নাতীত।
এর আগে ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে জোটের সমীকরণে লড়লেও ব্রিগেডের মতো বিরাট সমাবেশের একইসঙ্গে ছিলেন না সুজন চক্রবর্তী-আবদুল মান্নানরা। কিন্তু বিগত সাড়ে চার বছরে বিধানসভায় একই মতাদর্শে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন দুই পরিষদীয় দলনেতা।
এবারের নির্বাচনের আগে থেকেই ঘুটি সাজাতে চাইছেন নেতারা। ইতিমধ্যেই দলীয় শিবিরের প্রাথমিক আলোচনায় কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াইয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে পলিটব্যুরো। একইসঙ্গে জোটের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে রেখেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডও। তাই আসন বন্টনের বিষয়ে উভয়পক্ষ সহমত পোষণ করলেই মজবুত জোটের বার্তা দিতেই ব্রিগেডের সভাতে দেখা যেতে পারে দুই দলের নেতৃত্বকে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bjp-will-win-more-votes-in-jhargram-said-suvendu/
যদিও আসন বন্টনের অঙ্ক এখনও পরিষ্কার হয়নি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, হাইকম্যান্ডের নির্দেশ অনুসারে ১১০ থেকে ১২০ আসনে লড়াই করতে চায় কংগ্রেস। বামেদের জন্য বেশী আসনের লড়াইয়ের বেশী সুযোগ করে দিতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ।
আবার অন্যদিকে ৫০-৫০ আসনে লড়াইয়ের চিন্তাভাবনা রয়েছে কংগ্রেসের অপর অংশের। যদিও উভয় ক্ষেত্রেই প্রার্থীর ওপরেই বেশী নজর রাখতে চাইছেন তাঁরা। নির্বাচনে বেকারত্ব, সম কাজে সম বেতন সহ কাজের ক্ষেত্রে মহিলাদের বিশেষ সুবিধার কথা তুলে ধরতে চাইছেন তাঁরা।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন থেকে শুরু করে আসন বন্টনের পুরোটাই কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের ওপর ছাড়তে চাইছে রাজ্য নেতৃত্ব। কারণ লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ এবং রায়গঞ্জ আসন নিয়ে মনোমালিন্য হওয়ার কারণে জোট ভেঙে যায়। লড়াই হয় চতুর্মুখী।
তবুও সমস্ত কিছুকে ঝেড়ে ফেলে একাধিক ইস্যুতে রাজপথে হেঁটেছেন বিমান বসু এবং প্রদীপ ভট্টাচার্যরা। তাই নির্বাচনের আগে জোটের বন্ধন আলগা করতে না চেয়ে পুরো বিষয়টাই ২৪ নম্বর আকবর রোডের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে রাজ্য নেতৃত্ব।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/om-prakash-mishra-in-jalpaiguri-to-meet-the-problems-of-the-party-will-remain-till-the-election/
এমনিতেই আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে একাধিকবার বৈঠকে বসেছেন অধীর চৌধুরী-সুর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসু এবং আবদুল মান্নানরা। প্রাথমিক স্তরে আলোচনা হলেও তাতে এখনও অবধি শিলমোহর পড়েনি। ৩ এবং ৪ জানুয়ারি বৈঠকে বসতে চলেছেন সিপি(আই)এমের রাজ্য কমিটি। সেখানেই এই ধোঁয়াশা কাটতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ব্রিগেডের মঞ্চে বিজেপির বিরোধী শক্তি নতুন কিছু নয়। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহবানে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল একজোট হলেও ছিলেন না বামেরা।
বরং ব্রিগেডের জনসভায় বামেদের বিপুল সংখ্যক জনপ্রিয়তার কাছে হার মানতে বিজেপিকে। যদিও সময় পরিবর্তনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে। তাই বদলের রাজনীতিতে খানিকটা জোটের জল মাপতে চাইছে উভয়পক্ষ।