অর্জুন গড়ে তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন, ফাঁপরে গেরুয়া শিবির

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২ জানুয়ারি ১৯-০ ভোটে জিতে ভাটপাড়া পুরসভা পুনর্দখল করল তৃণমূল। কিন্তু তিন তৃণমূল কাউন্সিলরের অনাস্থা চিঠি খারিজ করে হাইকোর্ট। এরপরেই ডিভিশন বেঞ্চে উপস্থিত হয় ঘাসফুল শিবির। মঙ্গলবার জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থা ভোটে ফের জয়লাভ করে তৃণমূল।

এদিন আস্থা ভোটের কারণে সকাল থেকেই ১৪৪ ধারা জারি ছিল পৌরসভা চত্বর জুড়ে। শহরের প্রতিটি রাস্তায় মোতায়েন ছিল পুলিশবাহিনী। জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে এদিন আস্থাভোট সম্পন্ন হয়।

২০১৫ সালের ভাটপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ৩৫ টি আসনের মধ্যে ৩৪ টি আসন পেয়ে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। মাত্র একটি আসন পায় সিপি(আই)এম। এক কাউন্সিলরের মৃত্যুর কারণে তৃণমূলের কাউন্সিলরের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৩৩।

লোকসভা ভোটের পর ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল সরিয়ে ক্ষমতায় আসে গেরুয়া শিবির। সেইসঙ্গেই বনগাঁ, নৈহাটি, গারুলিয়া, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর এবং ভাটপাড়া পুরসভাগুলি চলে যায় বিজেপির দখলে। ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যগদান করায় তা গেরুয়া শিবিরের দখলে চলে যায়।

গত ৬ ডিসেম্বর ভাটপাড়া পৌরপ্রধান সৌরভ সিংয়ের অনাস্থা প্রস্তাব আনে ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। কিন্তু সময়ে পেরিয়ে গেলেও আস্থা ভোট হয়নি। এরপর পুরসভার আধিকারিক অতনু ঘোষকে চিঠি দেয় তিন তৃণমূল কাউন্সিলর।

২ রা জানুয়ারি আস্থাভোটের জন্য উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ১৯ জন কাউন্সিলর। বিজেপির কোনও কাউন্সিলর উপস্থিত না থাকায় ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে ১৯-০ ভোটে জয়লাভ করে ঘাসফুল শিবির।

সেদিনেই বেআইনিভাবে আস্থাভোটের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। তিন তৃণমূল কাউন্সিলরের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি খারিজ করে আদালত। এরপর মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থাভোটের নির্দেশ দেয় আদালত। মঙ্গলবার ভোটের পর জেলাশসককে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিন আস্থা ভোটের পর ফের ভাটপাড়া পুরসভা দখলে নিল ঘাসফুল শিবির।

সম্পর্কিত পোস্ট