রাজনীতি থেকে আপাতত সরে দাঁড়িয়েছিঃ লক্ষ্মীরতন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ “রাজনীতি থেকে আপাতত সরে দাঁড়িয়েছি”। মন্ত্রিত্ব সহ তৃণমূলের একাধিক পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর স্পষ্ট করলেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল। মেয়াদ শেষ হওয়া অবধি বিধায়ক পদে থাকতে চান। একইসঙ্গে স্পষ্ট করলেন একুশের বিধানসভায় তাঁর দাঁড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেন, খেলা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাইছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, সমস্ত দলকে সম্মান করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা করেন তিনি। তবে সমাজসেবা চালিয়ে যাবেন। এখন ফিরতে চান খেলাতেই। বাংলায় যেন হিংসা, প্রতিহিংসা না হয় তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রীত্ব সহ তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে লক্ষ্মীরতন শুক্ল সরে দাঁড়ানোর পর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা হয়। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হয় তৃণমূলের অন্দরে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না হাওড়া উত্তরের বিধায়ক। যদিও সেবিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। বরং যাদের সঙ্গে কাজ করেছেন সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর আবেভাবে অন্য কিছু ফুঁটে ওঠে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shuvendu-trinamool-fight-in-nandigram-on-martyrs-day/

তাঁর দাবি, “যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। উনি বলেছেন আমি ভাল ছেলে। এটাই বড় প্রাপ্তি”। বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায় ‘আমি খুব সাদামাটা মানুষ। ক্রীড়াবিদ হিসাবে আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়। ম্যাচের আগে সবাই জেতার চেষ্টা করি। তারপর সকলে বন্ধু হয়ে যাই।’ তিনি বলেন,আমফানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সেইসময় সকলে রাজনীতি রং ভুলে সকল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমি সব দলকে সম্মান করি। সে সম্বন্ধে যে যা মন্তব্য করেছেন তাঁদের সকলেও তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে হিংসা থেকে সুরে থাকার জন্য সকলকে বার্তা দেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। হিংসা থেকে সকলকে দূরে থাকারও বার্তা দেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তাঁর কথায় ‘আমরা বাংলায় হিংসা, প্রতিহিংসা দেখতে চাই না। নিজের, নিজের পরিবার, সমাজের খেয়াল রাখুন। হিংসা থেকে দূরে থাকুন।’ লক্ষ্মীর কথায় যদিও রাজনৈতিক মহলের অনেকেই একশো শতাংশ বিশ্বাস করতে নারাজ। রাজনীতি থেকে সরে আসার নেপথ্যে কোনও না কোনও গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

মঙ্গলবার তিনি ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন হাওড়া উত্তরের বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা । পদত্যাগ করেন দলের হাওড়া সদরের তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকেও। লক্ষীরতন শুক্লর ইস্তফা গ্রহণ করে নেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেন, রাজনীতি থেকে সরে গিয়েই খেলার ওপর নজর রাখতে চাইছে লক্ষ্মী। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। যদিও তাঁর হয়ে তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী এবং বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া।

সম্পর্কিত পোস্ট