যৌথ আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হলেও আসন সমঝোতা হল না

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত কয়েকমাস ধরে প্রাথমিক স্তরে যে আলোচনা চলছিল, তাতেই শিলমোহরের আশায় ছিল বাংলার মানুষ। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুই ঘন্টার বৈঠকের পরেও জোটের বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটলেও আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা স্থগিত রাখল বাম এবং কংগ্রেস।

এদিনের বিকেল সাড়ে চারটে থেকে সাড়ে ছ’টা অবধি বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানেই বিমান বসু, প্রদীপ ভট্টাচার্যরা জানিয়ে দেন যৌথ আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী অনুপস্থিত থাকার কারণে আসন বন্টন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।

এবিষয়ে আগামী সপ্তাহে আবারও একপ্রস্থ বৈঠকে বসতে পারেন দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও যৌথ কর্মসুচী পালনের জন্য প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছেন দু’পক্ষই।

যদিও কথা ছিল এবারের ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করবেন বাম শিবির। রাজনৈতিক মহলের ছাইচাপা আলোচনায় বামদের ব্রিগেডের মঞ্চে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কংগ্রেসের। তাতেই খানিকটা সহমত হয়েছে দুই পক্ষ।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/legal-notice-to-babul-supriya-by-abhishek-banerjee/

তবে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমান বসু। যদিও এবিষয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফেব্রুয়ারির শেষে অথবা মার্চের শুরু দিকে ব্রিগেডের সমাবেশ হতে পারে।

হাইভোল্টেজ সমাবেশে রাহুল গান্ধী সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাশে চাইছেন বাম নেতারা। একসঙ্গে মানুষের কথা বলাই যৌথ আন্দোলনের কর্মসূচী বলে দাবী করছেন দুই দলের নেতারা।

৪ জানুয়ারি সিপিএম-এর রাজ্য কমিটির বৈঠকেই ব্রিগেড সমাবেশে কংগ্রেসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠকে ছিলেন সিপি(আই)এমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। এর থেকেই স্পষ্ট, দলের কাছে এবারের ব্রিগেডের গুরুত্ব কতটা।

সিপিএম সূত্রে জানা যাচ্ছে, জাতীয় রাজনীতিতে ‘সম মনোভাবাপন্ন’ বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে ব্রিগেডে।

তার আগে ২৩, ২৬ এবং ৩০ জানুয়ারি যৌথ কর্মসুচীতে একজোট হতে চলেছে দুই শিবির। শুধুমাত্র শহর কলকাতায় নয়, সমস্ত জেলা এবং গ্রামগুলিতে এই যৌথ কর্মসুচীর জন্য উভয় পক্ষের নেতৃত্বকে আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য।

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, দুঃখ, দারিদ্র এবং কষ্টের মধ্যে জীবন কাটাতে হচ্ছে মানুষকে। সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কর্মসুচি স্থির করা হয়েছে।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একইসঙ্গে লড়াই করেছিল বাম কংগ্রেস। সেবার পার্ক সার্কাসের রামলীলা ময়দানের একইমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং রাহুল গান্ধী। অনেকে মনে করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সেবারের বিকল্প জোট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু হয়নি।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/narendra-sing-tomar-this-time-you-gave-a-letter-to-mamata-with-kisan-samman-nidhi/

দু’শোর বেশী আসন পেয়ছিল তৃণমূল। ৭৭ টি আসন পেয়েছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কিন্তু সারা রাজ্যে ৪০ শতাংশের বেশী জনসমর্থন পেয়েছিল এই জোট। তৃণমূল পেয়েছিল ৪৫.৭১ শতাংশ।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলায় বিজেপির উত্থান বাম-কংগ্রেসের সমর্থনে ভাটা আনে। তার ওপর ২০১৯ এর নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে বনিবনা না হওয়ার কারণে শেষ মুহুর্তে জোট ভেস্তে যায়। বাংলা থেকে মাত্র দুটি আসন পায় কংগ্রেস।

কিন্তু এবারের নির্বাচনে বামেরা খাতা খুলতে পারেনি বামেরা। তাই এবার নীল বাড়ি দখলের লড়াইয়ে এবার আগে থেকেই কোমড় বেঁধে নামতে চাইছে দুই শিবির। বিজেপি এবং তৃণমূল দুই প্রতিপক্ষকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা।

সম্পর্কিত পোস্ট