লিলুয়া নিয়ে ভ্রান্ত প্রচার করা হচ্ছে: চন্দ্রিমা
দ্য কোয়ারি ওয়েডেস্কঃ সরকারি হোমে কিশোরীর হাতে ‘দিদিদের’ সেফটিপিন ফুটিয়ে নাম লেখার ঘটনাকে ভ্রান্ত প্রচার বলছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বললেন, ”ভুল ব্যাখ্যা করে বাংলাকে ছোট করার চেষ্টা হচ্ছে। এটা যে সঠিক ঘটনা নয় সে সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমও অবহিত আছে।”
তবে কোনটা সঠিক সে সম্পর্কে অবশ্য কিছু বলেননি তিনি। বুধবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে হোমে ছুটে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। ঘটনার পুর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি জানিয়েছিলেন, মেয়েটির হাতে যে নামগুলি লেখা রয়েছে ওই নামে হোমে কোনও আবাসিক নেই। হয়তো অন্য কোনও নাম লেখা হয়েছে। তিনি বলেন, ”পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। ওই নাবালিকার কাউন্সেলিংও করা হবে। তবে রাত না পোহাতেই ঘটনা ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক কাজিয়া।
তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ ঘটনা সামনে আনার জন্য। তবে এ ঘটনা যে সত্য নয় সে সম্পর্কে অবিহিত আছে সংবাদমাধ্যমও।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/although-the-joint-movement-was-discussed-the-seats-were-not-agreed-upon/
চুঁচুড়া সিঙ্গিরবাগানের ১৬ বছরের নাবালিকা ১৫ ডিসেম্বর সন্ধেবেলা বাবার বকুনি খেয়ে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাতে হাওড়া স্টেশনে তাকে ঘোরাফেরা করতে দেখে জিআরপির সন্দেহ হয়। তারা ওই নাবালিকাকে আটক করে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেয়।
চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে লিলুয়ার সরকারি হোমে ঠাঁই হয় ওই নাবালিকার। পুলিশের মাধ্যমে খবর দেওয়া হয় ওই নাবালিকার বাড়িতে। খবর পেয়ে লিলুয়া হোমে ছুটে যান নাবালিকার পরিবারের লোকজন। সেখান থেকে জানানো হয় ১৪ দিন পরে মেয়েকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
১৪ দিন পর ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে আসলে তার মা দেখেন মেয়ের হাতের ওপর বেশ কিছু কাটা দাগ। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায় হোমের কয়েকজন সিনিয়র দিদি সেফটিপিন দিয়ে তার হাতের ওপর নাম খোদাই করে লিখে দিয়েছে।
ওই নাবালিকার মা জানিয়েছে তাঁর মেয়ে এখনও আতঙ্কগ্রস্ত। ঘোরের মধ্যে রয়েছে সে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মামলা শুরু করেছে। গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে নির্যাতিতা কিশোরীর।