কৃষি আইনের বিরোধিতায় দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেরল, পাঞ্জাবের পর এবার কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাবের জন্য এগিয়ে এল পশ্চিমবঙ্গ। ২৭ এবং ২৮ জানুয়ারি এই বিশেষ অধিবেশনের জন্য ডাকা হয়েছে।দুই দিনের বিশেষ অধিবেশনে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে প্রস্তাব পাশের জন্য বাম-কংগ্রেসকে পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানালো তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে জিএসটি ৫ শতাংশ কমানোর বিষয়েও আলোচনা হবে বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/massive-tension-before-the-meeting-of-shuvendu-adhikari-in-nandigram/
কিছুদিন আগেই নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব আনতে চলেছে সরকার। এর জন্য অধিবেশন ডাকা হতে পারে খুব শীঘ্রই। যদিও দ্রুত অধিবেশন ডেকে তিন কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে প্রস্তাব আনার জন্য আগেই চিঠি দিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। বিরোধীদের আবেদনে সায় দিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হাঁটতে চলেছে সরকার। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এর আগেই কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব হয়ে দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির সিঙ্ঘু বর্ডারে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সাংসদরা। ফোনে কৃষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
অন্যদিকে আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে সাত বারের বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারেনি কেন্দ্র সরকার। শুক্রবার অষ্টম দফার বৈঠক শুরু হয়েছে কৃষক এবং কেন্দ্রের মধ্যে। এর আগে ৭ তারিখ দিল্লি সীমান্তে ট্রাক্টর মিছিল করেছেন কৃষকরা। শুক্রবারের বৈঠকে সমাধান সূত্র বের না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। তারই অংশ হিসাবে ২৬ জানুয়ারি দিল্লির ভিতর ট্রাক্টর মিছিল করার কথা জানিয়েছেন কৃষকরা।