কড়া অবস্থানে কৃষকরা, পরবর্তী বৈঠক ১৫ জানুয়ারি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার অষ্টম দফার বৈঠকে বসে কেন্দ্র এবং আন্দোলনরত কৃষক ইউনিয়নের নেতারা। গত সাত দফার বৈঠকে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার বিজ্ঞানভবনের বৈঠকে সেই ধোঁয়া কাটল না। নিজেদের অবস্থানেই অনড় থাকলেন কৃষকরা। ১৫ জানুয়ারি আবারও এক দফার বৈঠকে মুখোমুখি হতে চলেছে দু’পক্ষ।

সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে কৃষকদের বলা হয় এই আইন শুধুমাত্র পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার জন্য নয়। এই আইন সারা দেশের জন্য। পাল্টা নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে রাজ্যগুলিকে আইন আনার কথা বলেন কৃষকরা। পাশাপাশি এমএসপি নিয়ে সরকারকে নতুন আইন আনতে হবে। এই দাবীও তোলেন তাঁরা।

কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টমার জানিয়েছেন, কৃষি আইন নিয়ে কথা বলার ছিল কিন্তু কৃষি এইন নিয়ে কোনও কথা হয়নি। সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, কৃষকরা আইন প্রত্যাহার বাদ অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে সরকার রাজি ছিল। কিন্তু কৃষকদের তরফে কোনও বিকল্প তুলে ধরা হয়নি। তাই পরবর্তী বৈঠক ১৫ জানুয়ারি হবে।

এদিনের বৈঠকে কৃষকদের তরফে উপস্থিত ছিলেন ৪০ জন কৃষক সংগঠনের নেতারা। কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোম প্রকাশ।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/a-two-day-special-session-against-agricultural-law/

সর্বভারতীয় কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, আমরা আইন প্রত্যাহার ছাড়া অন্য কোনও বিষয় শুনতে নারাজ। আমরা কোনও আদালতে যেতে রাজি নই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

পাল্টা নিজেদের অবস্থান আরও কঠোর করে তুলছেন কৃষকরা। আইন প্রত্যাহার করলেই আমরা বাড়ি ফিরে যাবো সাফ মন্তব্য কৃষকদের। এমনকি কৃষকদের তরফে এও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট যখন বলছে কৃষকদের বিষয়টি রাজ্যের তাহলে কেন্দ্রের এতে নাক গলানোর প্রয়োজন নেই। কৃষকদের তরফে বলা হচ্ছে কেন্দ্র সরকার তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে চায় না। তাই একাধিক বৈঠকের পরেও পরিষ্কার করে কিছু জানাচ্ছে না। এদিন বৈঠকে বেশ কিছু কৃষক নেতাকে প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলন করতেও দেখা যায়।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন কৃষি আইন পাশ হওয়ার পর থেকে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন কৃষকরা। এরপর নভেম্বরের শেষ দিকে মিছিল করে দিল্লির সীমান্তে জমায়েত করেন কৃষকরা। প্রায় ১ মাসের বেশী সময় ধরে আন্দোলনে এখনও অবধি কোনও সুরাহা মেলেনি। তবে আগামী দিনের বৈঠকে কোনও সমাধান না মিললে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার দিল্লি সীমান্তে ট্রাক্টর মিছিল করেন কৃষকরা। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কিষাণ ট্রাক্টর মার্চ করবেন কৃষকরা।

এর আগেও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় আন্দোলনে ইতি টানতে ব্যররথ হয় সরকার। কিন্তু প্রায় ৫০ শতাংশ কৃষকদের দাবী পুরণে সরকার সাফল্য লাভ করেছেন দাবী করেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী। শুক্রবার দুপুরে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি আশা প্রকাশ করেন এদিনের বৈঠকে সমাধান সূত্র বের হবে। কিন্তু তা হল না।

সম্পর্কিত পোস্ট