নির্বাচনের আগে জোরদার তল্লাশি অভিযান, সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে হানা ED-র

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যে কয়লা পাচারকারী এবং গরু পাচারকারী চাঁইদের ধরতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে একের পর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গুলিকে।

নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটটি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইডির আধিকারিকরা। এরআগেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযানে দেখা গিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকদের।

সেখানে উঠে আসে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম। নির্বাচনের আগে তাদের হাতের মুঠোয় করতেই আরও জোরদার হয়েছে এই তল্লাশি অভিযান। তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের নাম উঠে এসেছে ।

শুধু তাই নয় বিনয় মিশ্রের বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন পাওয়া তথ্য সূত্র ধরেই উঠে এসেছে হুগলির কোন্নগরের এক ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিংহের নাম। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন সঞ্জয় সিংহ বস্ত্র ব্যবসায়ী। তবে সেই ব্যবসার আড়ালে চলত বেআইনি কারবার।

বিনয় মিশ্রের মারফৎ অনুপ মাঝি ওরফে লালা এবং এনামুলের কাছ থেকে কয়লা ও গরু পাচারের বিপুল অঙ্কের টাকা আসতো। সঞ্জয় সিংহ সেই সমস্ত টাকা বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দিতেন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/this-time-bird-flu-has-spread-to-delhi-and-maharashtra/

তদন্তকারী আধিকারিকরা জানাচ্ছেন সঞ্জয় সিংয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলাকালীন পাওয়া যায়নি সেই ব্যবসায়ীকে । তবে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যা তদন্তের গতি বাড়াবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা।

সোমবার সকাল থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। সেই তালিকায় রয়েছে গড়িয়া, নারকেল বাগান, বড়বাজার, বাঙ্গুর ইত্যাদি। হানা দেওয়া হয়েছে এক ইসিএল কর্মীর বাড়িতেও। যিনি আবার লালার সঙ্গে যোগসুত্র রাখতেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

আজ সকালে ইডির আধিকারিকরা কোন্নগরে শাস্ত্রীনগর এলাকায় অমিত সিং ও নিরজ সিং-এর বাড়িতে হানা দেয়। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর এই বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআইয়ের টিম।

সেদিনও এই দুই ভাইকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। কয়লা পাচার ও গরু পাচারের বিপুল অঙ্কের কাটমানি এই দুই ভাই এর মাধ্যমে বিদেশেও প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছত বলে জানা যাচ্ছে।

বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে নথি, বাড়িতে থাকা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রভৃতি। তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন নির্বাচনের আগেই হয়তো তালিকার নাম উঠে আসতে পারে এ রাজ্যের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নামও। তবে সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ।

সম্পর্কিত পোস্ট