দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়নের পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল শিশির অধিকারীকে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবার নিয়ে জলঘোলা তৈরি হয়েছিল শাসক শিবিরে। তারপর সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পৌরসভা প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই আরো তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
সৌমেন্দু অধিকারী শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েই কাঁথি থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দেন। এসবের মাঝেই সকলেই অপেক্ষা করছিলেন অধিকারী পরিবারের অভিভাবক এবং তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীর অবস্থান কোন দিকে তা জানার জন্য।
প্রকাশ্যে আসে অধিকারী পরিবারের মন্তব্য, তিনি যে ছেলেদের বিপক্ষে যেতে পারবেন না সেটা স্পষ্ট করে দেন । পাশাপাশি তাঁর দুই ছেলের বিজেপি যোগের সিদ্ধান্ত কেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে শোনা যায় শিশির অধিকারীকে।
বিগত কয়েক মাস ধরে শিশির অধিকারীর ভূমিকা সে অর্থে চোখে পড়ছেনা। মুখ্যমন্ত্রী সভা করলেও কাঁথিতে অনুপস্থিত থেকেছেন শিশির অধিকারী। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এসবের মাঝেই মঙ্গলবার দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শিশির অধিকারীকে। স্থলাভিষিক্ত হলেন অখিল গিরি।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/ban-on-tractor-rallies-in-delhi-central-govrnment-on-supreme-court/
মেদিনীপুরের মাটিতে রামনগরের বিধায়কের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পর্ক দুই মেরুতে। তবে শিশির অধিকারী জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে তিনি অবহিত নন। কারণ সরকারি কোনো চিঠি তার কাছে গিয়ে পৌঁছয়নি।
সাংসদ ছাড়াও শিশিরবাবু দুটি পদে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি এবং দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান। একটি পদ থেকে সরানো হলেও এখনো পর্যন্ত জেলা সভাপতি হিসেবে থাকছেন শিশির অধিকারী।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে পর আরও জোরালো হতে চলেছে অধিকারী পরিবার বনাম রাজ্য সরকার তরজা। শিশির অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন করোনার টিকা নেওয়ার পর তিনি দিল্লি যেতে পারেন।
চলতি মাসেই ১৬ তারিখ থেকে টিকার প্রথম কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে । আশা করা হচ্ছে জানুয়ারি মাসে শেষার্ধে টিকা নিয়ে দিল্লি উড়ে যেতে পারেন শিশির অধিকারী। তবে এরপর রাজ্য রাজনীতিতে শিশির অধিকারীর অবস্থান কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয় ।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে রাজ্য সরকার এই বার্তা দিয়ে স্পষ্ট করে দিতে চাইল দলের কাছে ব্যক্তি কোন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এতদিন যাবৎ মেদিনীপুরের মাটিতে একা রাজত্ব করে গিয়েছে অধিকারী পরিবার। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেবার পর থেকেই অচলায়তনের পাঁচিল ভাঙতে উদ্যত হয়েছে রাজ্য সরকার। একের পর এক সিদ্ধান্তে তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।