দেশজুড়ে শুরু টিকাকরণ, প্রতিষেধক নেওয়ার পরেও কোভিড বিধি মেনে চলার বার্তা প্রধানমন্ত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ১৬ ই জানুয়ারি শনিবার সকাল থেকেই প্রত্যাশিতভাবেই শুরু হলো টিকাকরণ কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি টিকাকরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করে জানান এটাই বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ কর্মসূচি।

কেন্দ্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবার তারা প্রস্তুত। করোনার গ্রাসে গোটা একটা বছর তছনছ হয়ে যাবার পর অবশেষে ২০২১ সালের নতুন বছরের নতুন করে আশার আলো দেখছেন দেশবাসী।

প্রথম দফায় এই টিকা পাচ্ছেন সরকারি এবং বেসরকারি কেন্দ্রের সামনের সারিতে থাকা করোনা যোদ্ধারা। মোট ৩০০৬ টি কেন্দ্রে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রথম দিন একশ জন করে টিকা পাবেন। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ২৮ দিন পর।

সংশোধিত ভোটার তালিকায় নাম জুড়ল ৭ কোটি ৩২ লাখের

এত দ্রুত টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ায় গোটা কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের। প্রধানমন্ত্রী এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে বলেন, প্রতিষেধক কবে আসবে সে দিকেই তাকিয়ে ছিলেন দেশবাসী। তবে টিকা তৈরি করা সময়ের ব্যাপার। কিন্তু এক্ষেত্রে রেকর্ড সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যেভাবে বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা অতি দ্রুত প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছেন তাতে তাদের প্রতি আমার অকুণ্ঠ সম্মান।

তিনি বলেন বিশ্বের সবথেকে বড় কর্মসূচি শুরু হলো ভারতে। দিনের পর দিন পরিশ্রমের ফলেই এই সাফল্য এসেছে আজকে। এই দিনটার দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশের মানুষ। টিকাকরণের সমস্ত খরচ বহন করবে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মী,পুলিশসহ প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের শুরুতেই টিকা দেওয়া হবে। খুব কম সময়ের মধ্যে এই টিকা এসেছে ভারতে। অত্যন্ত জরুরী দুটো ডোজ নেওয়া। দ্বিতীয় ডোজ কবে পাওয়া যাবে সেটা ফোনেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। টিকাকরণের পরেও মেনে চলতে হবে সমস্ত কভিড বিধি। মাস্ক-স্যানিটাইজার এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাটা জরুরি।

আরও পড়ুনঃ আজ বাংলায় শুরু টিকাকরণ, টিকা প্রাপকের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী

শনিবার সকালে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫১৫৮ জন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ ঘন্টায়  ১৬৯৭৭ জন। টিকা দেওয়ার জন্য দেশের মোট ৭০০ টি জেলার দেড়লাখ স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট