দিলীপ ঘোযের ছবিতে পিক ! শিলিগুড়িতে পা রেখেই শাসক দলকে নিশানা রাজ্য সভাপতির

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এরাজ্যে ধীরে ধীরে শীত বিদায়ের পথে। তবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া কিন্ত দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় যথেষ্ঠ উর্ধ্বমুখী। সেই ঠান্ডার মাঝেই উত্তরের রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশ চড়ছে। মঙ্গলের সকালে শিলিগুড়িতে পা পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।সঙ্গে ছিলেন সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।

সকাল সকাল এনজেপিতে তাদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপির সভাপতি প্রবীন আগরওয়াল।

সকাল সকালই রাজনীতির পারদের গ্রাফ চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ জানান বিজেপির পক্ষেই সম্ভব সোনার বাংলা তৈরী করা। কারন তৃণমূল বাংলাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

তাঁর কথায়, এবারের নির্বাচনে বিজেপিকে পূর্ণ সমর্থন করবে শিলিগুড়ির মানুষ। উত্তরবঙ্গের মানুষ তৃণমূলের উপরে বিরক্ত হয়ে গেছে। তাই এবারে পরিবর্তনের পরিবর্তন হবেই।

দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের আরও জানান, বিজেপি এবারে মাটি কামড়ে লড়াই করবে। সেই লক্ষ্যেই তাঁর শিলিগুড়িতে আসা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আগামীদিনে বিজেপির উত্তরবঙ্গের জেলা গুলি নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা আছে বলে এদিন জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

রাজ্যজুড়ে তিন দিন ধর্মঘটের ডাক বাস-মিনিবাস সংগঠনগুলি

আজ শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে এক বিশাল জনসমাবেশ করেন দিলীপ ঘোষ। সেই সভার পরিপ্রেক্ষিতে বাঘাযতীন পার্কের বিভিন্ন এলকায় একাধিক দিলীপ ঘোষের ছবি সম্বলিত পোস্টার লাগানো হয়েছিল বিজেপির তরফে। সেই পোস্টারেই দিলীপ ঘোষের লাগানো ছবিতে কেউ বা কারা পিক ফেলে দেয়।

ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিজেপি। অভিযোগের তীর উঠেছে তৃণমূলের দিকে। বিজেপির তরফে অভিযোগ তুলে বলা হয়, কোনো সুস্থ মানুষ এই ঘটনা ঘটাতে পারে না।

বিজেপির শিলিগুড়ি জেলা সাধারন সম্পাদক রাজু সাহা সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের কাজ করে থাকে। এর বিরুদ্ধে তারা আগামীদিনে আন্দোলন করবেন বলেও জানান।

নেতাজির জন্মদিনকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে ঘোষণায় খুশি নয় নেতাজি পরিবার

এই ঘটনার পর বাঘাযতীন পার্কে জনসমাবেশে যোগ দিতে এসে তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। সমস্ত সমাজবিরোধীদের পার্টিতে ঢুকিয়ে নিচ্ছে। তার পরিণাম আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের ঘটনা। সোমবার ক্যানিংয়ের ঘটনা। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে আর পুলিশের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের অন্দরেই খুনখারাপি চলছে। তার প্রভাব পড়ছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে।তাঁর দাবি বিজেপি আগামী দিনে পশ্চিমবাংলায় ক্ষমতায় এসে রাজ্যবাসীকে সুশাসন দেবে।

পাল্টা মঙ্গলবারই শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের জনসভা এবং যোগদান কর্মসূচির পর মাঠ শুদ্ধিকরণ করে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এদিন বাঘাযতীন পার্কের গেটের সামনে শুদ্ধিকরণের পুজো সেরে গোটা মাঠ সহ রবীন্দ্রমঞ্চে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দেন ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।

দার্জিলিং জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, ‘বিজেপি ভগবানের নাম নিয়ে রাজনীতি করে। সেই কারণেই মাঠ শুদ্ধ করা হল। বাঘাযতীন পার্ক পবিত্র মাঠ। আগামীতেও যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন তারা এই মাটিতে পা দিলে আমরা আবার শুদ্ধিকরণ করব।’

সম্পর্কিত পোস্ট