শিলভদ্র দত্তের টিকা প্রশ্নে বিতর্ক,কটাক্ষ শাসক দলের
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: তৃণমূলের বিধায়কদের টিকা নেওয়ার ঘটনার মাঝেই এবার ভাইরাল বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্তের টিকা নেওয়ার ছবি। শনিবার ব্যারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালে টিকা নেন বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। যা নিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির।
অতীতে কাটোয়া, ভাতার,করণদিঘিতে তৃণমূলের বিধায়কদের টিকা নিতে দেখা যায়। যা নিয়ে সোচ্চার হয় বিজেপি। পদ্ম শিবিরের তরফে বলা হয়, স্বাস্থ্য়কর্মীদের টিকা চুরি করে আগেভাগে নিচ্ছে শাসক দলের লোকজন। এবার বিজেপির শীলভদ্র টিকা নেওয়ায় অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি।
এ প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত বলেছেন, আমি জানতাম না যে আমি লিস্টে আছি। আমাকে কোনও মেসেজও পাঠানো হয়নি। তবে হাসপাতালের তরফে বলা হয়, এরকম এক টিকাকরণ চলছে , আপনি একবার দেখতে আসুন। ওখানে গিয়ে আমি জানতে পারি টিকা নেওয়ার তালিকায় ১০৫ নম্বরে আমার নাম আছে। যেহেতু আমি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা রোগী। আমার অপারেশনের দু বছরও হয়নি। তাই টিকা নেওয়ার কোনও অভিপ্রায় আমার ছিল না। হাসপাতালের অনুরোধেই টিকা নিয়েছি।
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শীলভদ্র। আক্ষেপের সঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের আগে টিকা নিতে বারণ করেছেন, তা আমি জানতাম না। কিন্তু এটা হয়ে গেছে। হাসপাতালের তরফে একজন জনপ্রতিনিধির টিকাকরণে দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে বলায় আমি টিকা নিয়েছি।
সম্প্রতি রাজ্যে টিকা ঢোকার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভ্যাকসিন নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা জারি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এর মাঝেই ভ্যাকসিন লুঠ হচ্ছে বলে অভিযোগ শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে।
দিলীপের অভিযোগ, ‘চাল ও কয়লার মতো ভ্যাকসিনও লুঠ হচ্ছে।’ একই কথা বলেছেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষেক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন চুরির অভিযোগ তোলেন কৈলাস। বলেন, ‘ভ্যাকসিন দিচ্ছে কেন্দ্র, অথচ সবকিছুর মতো এক্ষেত্রেও তা নিজের নামে চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বিজেপির ভ্যাকসিন চুরির অভিযোগের পালটা জবাব দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘চোরেরা সারা জগতকে চোর দেখে।’
ফিরহাদের কটাক্ষ, ‘এই ভ্যাকসিন কাদের? এটা কি বিজেপির ভ্যাকসিন? না, আমরা যে টাকা দিয়েছি, অর্থাত বাংলার আয়কর ও জিএসটির যে টাকা গেছে, ওই টাকা দিয়েই ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ভ্যাকসনি পাঠাতে বলেছেন। যদি পাঠাতে না পারেন, তাহলে আমরা কিনে নেব। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আর সেটা পূরণ করতে হবে।’