তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে শান্তিপুরের বিধায়ক

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আবারও তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন। বিজেপিতে যোগ দিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। দিল্লি গিয়ে বাংলায় বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের উপস্থিতিতে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন শান্তিপুরের বিধায়ক।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে শান্তিপুরে জয়ী হন অরিন্দম। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। এদিন আবার দল বদলে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন তিনি।

বিজেপিতে যোগদানের পর বুধবার অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের মতো শিক্ষিতরা যখন রাজনীতিতে পা রাখেন, তাঁদের তখন অনেক প্রত্যাশা তৈরি হয়। মানুষ ভুগবে এটা কখনও চাই না। মানুষের স্বার্থে কাজ করতে পারিনি তৃণমূল কংগ্রেসে। অনেক আশা নিয়ে বাংলায় পরিবর্তনের সরকার তৈরি হয়েছিল।কিন্তু, এখন শুধু দুর্নীতি জুড়ে গিয়েছে এই সরকারে। আজ বাংলার যুবকদের জন্য কাজ নেই। বাংলায় শুধু ব্যক্তি আক্রমণের রাজনীতি চলছে। মোদীর নেতৃত্বে আত্মনির্ভর বাংলা তৈরি হবে’।

তৃণমূলে যোগ দিলেন ক্রিকেট প্রশাসক বিশ্বরূপ দে

ইদানিং কালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে কেউ গেলেই গেরুয়া শিবিরের নেতারা বলছেন, জোর ধাক্কা খেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এদিনও তাঁরা সেই একই কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তব সত্য হল এটাই, অরিন্দম তো তৃণমূলের বিধায়কই ছিলেন না। কংগ্রেসের বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে।

কিন্তু জোড়াফুলে এবার টিকিট মিলবে না সেটা আঁচ করেই এবার বিজেপির পথে পা বাড়িয়েছেন অরিন্দম। তবে তাঁর এই দল বদলের জেরে অনেকটাই স্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

কেননা, অরিন্দমের কার্যকলাপ নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেশ বিড়াম্বনায় পড়তে হচ্ছিল গত এক দেড় বছর ধরেই। এর মধ্যে অরিন্দমের বিরুদ্ধে সব থেকে বড় অভিযোগ ছিল ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপুরের এক আদিবাসী গ্রামে অশান্তি করে বুথ দখল করার প্রচেষ্টা। সেই ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।

নানা কারনে স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি জোড়াফুল শিবিরেও বিরাগভাজন হওয়ার পাশাপাশি আমজনতার কাছেও গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিলেন অরিন্দম। এবার তাঁর বিজেপি যাত্রায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচল তৃণমূল। তবে নিজে থেকে গলার কাঁটা গেঁথে নিল বিজেপি।

উল্লেখ্য, এদিন, বিজেপিতে অরিন্দম ছাড়াও যোগ দিয়েছেন সিপিএময়ের রবি বাণিক, শ্রীমন্ত হাতি ও তৃণমূল কংগ্রেসের কল্পনা বিশ্বাস। এছাড়াও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন আদিত্য বিড়লা গ্রুপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্টারনাল মেডিসিনের এমডি ডা. দেবাশিস মোদক।

সম্পর্কিত পোস্ট