রোহিঙ্গা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ খারিজ তৃণমূলের, একুশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আপস নয়ঃ সুনীল আরোরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একুশের বিধানসভা ভোটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই আপস করবে না- শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই ইঙ্গিতই দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা।
গত বুধবার সন্ধ্যা বেলাতেই কলকাতায় পা রেখেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। দু দিনের সফর শেষ করে শুক্রবার বিকেলে ফের দিল্লি উড়ে গেলেন কমিশনের তাঁরা।
শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে থেকে কমিশনের ফুল বেঞ্চের একটি বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকেও দিল্লি ডাকা হয়েছে বলেই নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গেও তিনি এদিন দিল্লি গেছেন। সেই বৈঠকেই কার্যত কত দফায় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এবং কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। যদিও শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানালেন ” রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ণ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে।”
এদিন অবশ্য কার হাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রণ থাকবে অর্থাৎ রাজ্য পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ করবে নাকি এর নিয়ন্ত্রণ কমিশনের হাতে থাকবে সেই বিষয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে।
এবার দল থেকে বহিস্কৃত বৈশালী ডালমিয়া
এদিন এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ” ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।” তিনি এও জানান” ভোটের তিন মাস আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সময়সীমা এখনও নির্ধারিত হয়নি।নবাহিনী কত মিলবে তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রয়োজন অনুসারে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।”
বিরোধীদের তরফে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠেছিল ভোটের আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয় বিএসএফ একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রশ্ন করা হলে অভিযোগ উড়িয়ে তিনি বলেন “বিএসএফ সম্পর্কে এরকম মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক।” একইভাবে বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। বিজেপি অভিযোগ করেছিল রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন ” আমরা রিভিউ করে দেখেছি এরকম কিছু হয়নি। আর রিভিউ করার দরকার নেই। তবে অভ্যন্তরীণ বৈঠক তো হবেই।” এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং স্পষ্ট করে দেন এবারের বিধানসভা ভোটে সিভিক পুলিশ,গ্রীন পুলিশ কোন দায়িত্বে থাকবে না।
সিভিক পুলিশ, গ্রীন পুলিশ প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন “মুখ্যসচিব আশ্বাস দিয়েছেন সিভিক পুলিশ, গ্রীন পুলিশ নির্বাচনের কাজে ব্যবহার হবে না।”
তবে নির্বাচন কমিশন যে এবার ভোটের কাজে যুক্ত থাকা অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নিতে চলেছে এ দিন তার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন “গতবার আই এ এস অফিসার এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক কে সরতে হয়েছিল।আমরা এর পুনরাবৃত্তি চাই না।”
এদিন তার সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন “আমাদের লক্ষ্য একটাই নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা।”