প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেডের ঘটনায় ২২ টি অভিযোগ দায়ের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির ভিতরেই ট্র্যাক্টর র্যালির ঘটনায় বিশৃঙ্খলা ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর ঘটনায় ২২ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন একাধিক কৃষক আন্দোলনের নেতারাও। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং স্পেশাল সেল।
পুলিশ সূত্রের খবর, ১৭ টি প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছেন দিল্লি পুলিশের ৮৬ জন পুলিশ অফিসার। বেশীরভাগ জন আহত হয়েছেন দিল্লির মুকারবা চক, গাজিপুর, আইটিও, সীমাপুরী, নানগোলি, টিকরি বর্ডার এবং লালকেল্লায়। গাজিপুর, সিঙ্ঘু এবং টিকরি বর্ডারে ব্যারিকেড ভেঙে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
এর আগে একাধিকবার বৈঠকের পর রবিবার ট্র্যাক্টর প্যারেডের জন্য ছাড়পত্র দেয় দিল্লি পুলিশ। শান্তিপূর্ণ প্যারেডের কথা জানানো হয়েছিল কৃষকদের তরফে। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয় প্যারেড। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। রাজধানী জুড়ে অশান্তি থামাতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয় পুলিশকে।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেড ঘিরে অশান্ত দিল্লি, মৃত এক কৃষক
সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সিঙ্ঘু বর্ডারে ৬ থেকে ৭ হাজার জন কৃষকরা জমায়েত করেন। সেখান থেকে রাস্তা বদলে দিল্লির ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। পুলিশের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করেই দিল্লির মধ্যে ঘোড়ায় চড়ে অস্ত্র হাতে ঘুরতে দেখা যায় কৃষকদের।
সিঙ্ঘু এবং গাজিপুর বর্ডার থেকে আসা বিপুল সংখক কৃষকরা আইটিও-র সামনে জমায়েত করেন। এরপরেই তাঁদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এর পরেই সারা দিল্লি জুড়ে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। সমস্ত ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লির মধ্যে ঢুকে পড়েন কৃষকরা। পুলিশের উপস্থিতির পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা জুড়ে জারি করা হয় হাই এলার্ট। বেশ কিছু অসামাজিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী করেন কৃষক নেতারা। বাকি সমস্ত কিছু শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরে কৃষক আইন পাশের পর থেকেই আন্দোলনে শামিল হন কৃষকরা। দিল্লির উপকন্ঠে প্রায় ৬০ দিনের অধিক ধরে চলছে আন্দোলন। কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসেন কৃষকরা। তাই আন্দোলনকে বৃহত্তর করতে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে ট্র্যাক্টর প্যারেড করেন কৃষকরা।