রাজীবের হাতে মমতার ছবি, ‘ড্রামাবাজি ছাড়ুন’- কটাক্ষ সৌগত রায়ের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার বিধায়কপদ ছাড়লে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।একইসঙ্গে ছাড়লেন দলের সদস্যপদ। তাঁর দল ছাড়ার চিঠি দলনেত্রীকে তুলে দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ এদিন বিধানসভায় দলের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর দেখা গেল মমতার ছবি হাতে বিধানসভা থেকে বেরোচ্ছেন রাজীব।
মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে বিধানসভার দোতলায় রাজীবের আলাদা অফিস ঘর ছিল। সেখানেই টাঙানো ছিল ছবিটি। বিধানসভা ছাড়ার আগে সেটাই খুলে নেন রাজীব। দলত্যাগী অভিমানী নেতার এহেন কাণ্ড দেখে তৃণমূলের অনেকেই বিষ্মিত।
কারণ, তাঁদের কাছেও হয়তো তৃণমূল ছাড়া মানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে চলে যাওয়া। তবে এর মধ্যে কোনও বিষ্ময় দেখেননি প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, ‘রাজীব ব্যানার্জি যেটা করছেন সেটা ড্রামাবাজি। দল ছেড়ে দেবেন, বিধানসভা ছেড়ে দেবেন, অথচ মমতার ছবি নিয়ে যাবেন—এটা হাস্যকর’।
শিয়রে নির্বাচন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দলকে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ মমতার
উল্লেখ্য, এদিন মমতার সেই ছবি নিয়ে বেরনোর সময় রাজীব বলেন, ‘‘দলনেত্রী আমার কাছে মায়ের মতো। উনি আমার দ্বিতীয় মা। এত দিন মাথার পিছনে সব সময় ওঁর ছবি থাকত। আগামী দিনেও ছবিটা আমার কাছে থাকবে।’’
এর আগে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার দিন রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরনোর সময় আবেগপ্রবণ রাজীবকে কাঁদতেও দেখা গিয়েছিল। রাজীব সেই সময় জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে কোনও কথা না বলে সেচমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে আড়াই বছর আগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ‘ন্যূনতম সৌজন্য’ দেখাননি বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাজীব।
কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের শেষ সুতোটা ছিঁড়ে ফেলার আগের মুহূর্তে সেই রাজীবকেই বলতে শোনা গেল মমতা তাঁর ‘দ্বিতীয় মা’। তিনি আরও বলেন, ‘‘ওঁর জন্যই বিধানসভার সদস্য হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে বিধায়ক হওয়ার সুযোগ উনিই করে দিয়েছিলেন। ওঁর জন্যই মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। কখনও ওঁর অবমাননা করতে পারব না আমি।’’