বাজেটে আম জনতাকে ভাঁওতা দিয়েছে মোদি সরকার: অমিত মিত্র
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাজেটের আগেই আমজনতার হাতে বাড়তি নগদ তুলে দেওয়ার সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু সরাসরি সেই পথে হাঁটেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেজন্য নয়া দশকের প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেটকে ‘দিশাহীন এবং বিভ্রান্ত’ বলে কটাক্ষ করলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
একইসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বলেছেন, বাজেটে আম জনতাকে এক প্রকার ভাঁওতা দিয়েছে মোদি সরকার। একেবারে মামুলি, দিশাহীন বাজেট হয়েছে।
১০০ শতাংশ দিশাহীন বাজেট, এই বাজেট দেশ বিক্রির বন্দোবস্ত: ডেরেক
তিনি অভিযোগ করেছেন আমজনতার কথা ভেবে বাজেট করেনি মোদি সরকার। রাজ্যের মন্ত্রীর দাবি, আয়কর ছাড়ে নতুন কোনও কথা নেই। এতে এক প্রকার সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছেন মোদি সরকার।
সোমবার সংসদে সীতারামনের প্রায় ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের দীর্ঘ বাজেটে আয়কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তনের ঘোষণা করা হয়নি। তবে ক্ষুদ্র করদাতাদের স্বার্থে কয়েকটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন সীতারামন। যদিও কেন্দ্রের সেই নীতির তীব্র কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী।
তাঁর বক্তব্য, এবারের বাজেটকে ‘পেপারলেস’ (কাগজহীন) বাজেট বলা হচ্ছে। কিন্তু আদতে এটা দিশাহীন এবং বিভ্রান্ত বাজেট। মানুষের যে চাহিদা বাড়াতে হবে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের অভ্যন্তরে তেমন কোনও তাগিদই ধরা পড়েনি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ্বের সর্বত্র সাধারণ মানুষের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক মডেলেও সেই সুপারিশ করা হয়েছে।
তাঁর কথায়, কিন্তু সেই পথে না হেঁটে শুধু জোগান বাড়ানোর পথ প্রশস্ত করছে মোদি সরকার। পরিবর্তে মানুষের হাতে সরাসরি নগদ অর্থ তুলে দিলে ক্রয়ক্ষমতা বাড়ত। স্বভাবতই বাজারে জোগান বৃদ্ধি পেত। ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ কেইনসের নীতি তুলে ধরেন অমিত। যে অর্থনীতিবিদ বাজারে মন্দা কাটানোর দাওয়াই হিসেবে চাহিদা বাড়ানোর সওয়াল করেছিলেন।
“আত্মনির্ভরতার নামে আত্মবিক্রির বাজেট এটা”- কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব বাম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য
পাশাপাশি, সরকারের অপর মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, মোদি সরকারের বাজেটে মধ্যবিত্তের জন্য কিছু নেই। পুরোটাই ধনীদের কথা ভেবে বাজেট করা হয়েছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম হু হু করে বাড়বে। তার জন্য ফের জিনিসের দাম বাড়বে। এতে আরও চাপ বাড়বে মধ্যবিত্তের পটেকে। কেবল মাত্র প্রবীণদের আয়করে ছাড় দিয়ে মন জয়ের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সেটা যে বয়স থেকে করা হয়েছে তাতে খুব একটা সুরহা হবে না তাঁদের।