করোনা আবহে রেশনডিলারদের জন্য একগুচ্ছ সুবিধা রাজ্যের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রেশনডিলাররাও কোভিড লড়াইয়ে ফ্রন্ট ওয়ারিয়র্স। তাই তাঁরাও যাতে কোভিডের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ না হন সেই বিষয়টিতেও সোমবার নজর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডেরেশানের ‘অন্নে অনন্যা বাংলা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই রাজ্যের রেশন ডিলারদের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন।

তার মধ্যে অন্যতম হল রেশন ডিলারদের লাইসেন্স নবীকরণের সময় ১ বছর থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৩ বছর এবং নতুন করে রেশন ডিলারশিপ পাওয়ার জন্য যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁদের কার্যনির্বাহী মুলধন ৫ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে ২ লক্ষ টাকা করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে এবার থেকে রাজ্যের কোনও রেশন ডিলার যদি কর্মরত অবস্থায় প্রয়াত হন, তা হলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা সাহায্যও দেওয়া হবে।

বাজেটে আম জনতাকে ভাঁওতা দিয়েছে মোদি সরকার: অমিত মিত্র

এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী রেশন ডিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারাও করোনা যোদ্ধা। প্রথম সারিতে থেকে আপনারা লড়াই করেছেন। কৃষক থেকে শুরু করে পরিবেশক বা ডিলার, সকলেই করোনা যোদ্ধাদের তালিকাতেই পড়েন। করোনার সময় সাধারণ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যাও হচ্ছে।

তিনি বলেন, অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, ১০০ জনের মধ্যে হয়তো ৫ জন রেশন নিলেন না। সেই ৫ জনের নাম নথিভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের প্রাপ্য রেশন বিক্রি করা হচ্ছে বাজারে। এমন যাতে না ঘটে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে আপনাদের। আগের থেকে অনেকটাই কমিশন বৃদ্ধি করা হয়েছে রেশন ডিলারদের।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ডিজিটাল রেশন কার্ড করা হয়েছে, কুপনে রেশন দেওয়া হচ্ছে। কম্পেনসেসন গ্রাউন্ডে আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৬০ দিন থেকে ১২০ দিন করা হয়েছে। প্রয়াত রেশন ডিলারের স্ত্রী, সন্তানরা আবেদন করে এই সুযোগ এখন নিতে পারছেন। সব মিলিয়ে আগের থেকে ডিলারদের অবস্থা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। সেই কারণে যে ভাবে তাঁরা করোনার সময় সাধারণ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছেন, আগামী দিনেও যেন তারা তা দিয়ে যান।

ডব্লুবিটিসির জন্য নয়া অ্যাপ, যাত্রীদের জন্য থাকছে বেশ কিছু সুবিধা

এদিনের সম্মেলন থেকে মোদি সরকারকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ চাল কেনে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেনে মোটে ৬৯ হাজার টন। রাজ্য সরকার সেখানে কেনে ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন। এ রাজ্যে বিরোধীরা রেশন পরিষেবার ক্ষেত্রে একটা-দুটো ঘটনাকে বড় করে দেখাচ্ছে। তাঁরা কেন্দ্রের এই বঞ্চনা দেখতে পাননা। কয়েকটা চোর ডাকাত অনেক টাকা করে ফেলেছে। গোবর্ধনের কাছে জমা রাখতে যাচ্ছে। বিজেপি তো ওয়াশিং মেশিন।’

সম্পর্কিত পোস্ট