মমতা চলমান সমুদ্র,দু’ঘটি জল তুলে নিলে তা শেষ হয়ে যায় না:পার্থ চট্টোপাধ্যায়
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা জানিয়ে মঙ্গলবার, তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যকে উন্নয়নের রথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা প্রশংসারযোগ্য। এদিন তাঁর এই উন্নয়নের কাজকে সামনে রেখেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন তিনজন। তিনজনের মধ্যে অন্যতম হলেন, ‘অলোক চক্রবর্তী, উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা। দার্জিলিং জেলার আদিবাসী নেত্রী জ্যোতি তীর্কে এবং তৃতীয়জন হলেন হাওড়া জেলার মানব জয়সওয়াল।”
১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল
এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যে গেছে সে বাংলার উন্নয়নকে অবজ্ঞা করেই গেছে।আমি কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রচারে আসিনি। আমাদের চোখের সামনে যে সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্রমাগত সমাজকে, পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিকে, পশ্চিমবঙ্গের গরিমাকে ভাঙতে চাইছে। আমরা সমবেতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাকে রক্ষা করবার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি এবং চালিয়ে যাব’।
এদিন ‘দিলীপ ঘোষের চামড়া গুটিয়ে দেব’ এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, দিলীপবাবুদের দল যে ধারাবাহিকভাবে আক্রমন করছেন। কুকথা বলছেন। কুভাষ্য দিচ্ছেন। তাকে আমরা সমর্থন করিনা। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে।
এদিন বারুইপুরে বিজেপির যোগদান মেলায় যোগদান করেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার। এই বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘হ্যাঁ ঠিক আছে। অনেক হালদাররাই আসবে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলমান সমুদ্র। তার থেকে দু’ঘটি জল কেউ তুলে নিয়ে গেল তা কমে যায় না’।
ফালাকাটায় আদিবাসী গণবিবাহে মুখ্যমন্ত্রী, পা মেলালেন নাচের তালে
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুধু দেখছি যে একটা রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব কোন সাংগঠনিক শক্তি নেই। দল ভাঙাতে প্লেনে করে অন্য দলের নেতাদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সংস্কৃতি বাংলার মানুষ কোনদিন দেখেনি। দল বদল আদর্শের কারনে হলে, যারা আজকে দলবদল করছেন, তাঁদের মানুষ মেনে নিত। কিন্তু এই দলবদল মানুষ মানবে না।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি দল শক্তিশালী মজবুত। কোথাও দেখাতে পারবেন না কর্মীরা যাচ্ছে। দু একটা লোক চলে যাচ্ছে কিন্তু তাদের পিছনের লোকরা কিন্তু যাচ্ছেন না।’