বন সহায়ক নিয়োগে তদন্তে অনুমোদন মমতার মন্ত্রীসভার, আদৌ কি বাতিল হবে প্যানেল?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শাসক বনাম বিরোধী তরজা বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ক্রমশই জোরালো হয়ে উঠেছে। বিশেষত যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে যোগদান করেছেন তাদেরকে টার্গেট করেই শাসক দল একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হতে শুরু করেছে।

সেসব নেতাদের অস্বস্তিতে ফেলতে শাসক দলের তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নবান্ন। প্রাক্তন বনমন্ত্রীর দফতরে কী কী অসঙ্গতিও দুর্নীতি রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন। তাতে অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

শুক্রবার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে চলতি সরকারের সম্ভবত শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। সেখানে রাজীবের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দেওয়া ছাড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ৭৩৮ টি লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগের।

বুধবার আলিপুরদুয়ারে দলের কর্মী সভায় যোগ দিয়ে তৃণমূল নেত্রী প্রকাশ্যে বনস সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে রাজীবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন।

প্রাক্তন মন্ত্রীকে নাম না করে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বন সহায়ক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক কারসাজি করেছে। আমার কাছে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেসব ঢাকতেই বিজেপিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। রাজ্য সরকার তদন্ত শুরু করেছে।

কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বার করছেন মাননীয়া, বাতিল করুন বন সহাসকের প্যানেল- মমতাকে কড়া জবাব রাজীবের

পাল্টা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ধনেখালিতে বিজেপির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে জবাব দেন।

তিনি বলেন,“বন সহায়কের নিরপেক্ষ নিয়োগের জন্য আমি বোর্ডের হাতে সেই দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলাম। ৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল দশটার সময় আমি আপনাকে মেসেজ করে জানিয়ে ছিলাম বীরভূমের এক বড় তৃণমূল নেতা আমাকে ধমকি দিয়ে বলছে বন সহায়কের সব চাকরি তাকে দিতে হবে। আপনি তার পাল্টা আমায় ফোন করে বলেছিলেন জেলায় জেলায় তৃণমূলের কয়েকটা কোটা তুমি দিয়ে দাও।”

একইসঙ্গে রাজীব সেদিন মাননীয়াকে প্রশ্ন করেন “এর আগে যে যে দফতরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছে, এমনকি আমি আগে যে দফতরে ছিলাম সেখানে যে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আপনি দিয়েছিলেন সেখানে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আপনাকে তদন্ত করতে হবে। কিভাবে আপনি সেই চাকরি দিয়েছিলেন, পারবেন তো তার তদন্ত করতে?”

হুঁশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন, “আমার অসন্তোষ নিয়ে আমি এতদিন মুখছিলাম না। শেষ আড়াই-তিন বছরে কি হয়েছে তা সম্পর্কে আমি যদি মুখ খুলি, জেনে রাখবেন বট গাছের পাতা নড়বে না, গোটা বটগাছটা নড়ে যাবে। সমুদ্র উথাল-পাতাল করবে। হ্যাঁ এতটাই ক্ষমতা আমার রয়েছে।”

উল্লেখ্য ধনেখালি সভা থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যেন সহায়কের প্যানেলটাই বাতিল করে দেন। তাহলেই দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাবে। এখন এটাই দেখার রাজবীর খোলার চ্যালেঞ্জ কিভাবে মোকাবিলা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট