মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলনকে সমর্থন বিজেপির, ভোটবাজারে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য বিপুল ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার সল্টলেকে মাদ্রাসা শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। বাম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মাদ্রাসা শিক্ষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করা হয় আগেই। এই প্রথম বিজেপি তরফে কাউকে ওই মঞ্চে উপস্থিত হতে দেখা গেল।
একাধিক দাবিতে গত ১২ জানুয়ারি থেকে অনশন অবস্থান শুরু করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষক শিক্ষিকারা। ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ আনএডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে আন্দোলন তিন সপ্তাহে পা রাখল।
এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য সরকার মুখে মাদ্রাসা উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবে শিক্ষার প্রসারে ১০ হাজার মাদ্রাসা তৈরি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও ২৩৫ টি মাত্র মাদ্রাসা অনুমোদন পেয়েছে। সংখ্যালঘুদের সমর্থন করার কথা মৌখিকভাবে বলা হলেও আসলে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা তাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাই।”
আন্দোলনকারী সংগঠনের তরফে এদিন জানানো হয়, রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই দাবি আদায়ে আমাদের একমাত্র প্রধান লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী একবার এখানে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের দাবি মিটিয়ে দিন অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে আমরা এগিয়ে যাব।
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পার্শ্ব-শিক্ষকদের আন্দোলনে ধুন্ধুমার, বাজেটে ৩ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর
অন্যদিকে আজ রাজ্য বাজেটে শিক্ষা খাতে বিপুল বরাদ্দ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেটে বলা হয়েছে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য প্রচুর স্কুল তৈরি করা হবে।
তপশিলি জাতি-উপজাতি ও দুঃস্থদের জন্য মোট ১০০ টি স্কুল হবে। অলচিকি লিপিতে পড়ার জন্য ৫০০ টি নতুন স্কুল হবে। এছাড়াও নেপালি, হিন্দি, রাজবংশী মতো বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশোনার জন্য আরও ১০০টি স্কুল তৈরির প্রস্তাব রেখেছেন।
মাদ্রাসা গুলিকে আর্থিক সহায়তার জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিছিয়ে পড়া অসহায় পড়ুয়াদের বিনামূল্যে হোস্টেল থেকে পড়াশুনার যাবতীয় বন্দোবস্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। যার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১০ কোটি টাকা।
এছাড়াও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যুবশক্তি প্রকল্পের ১০ হাজার পড়ুয়াকে প্রতি দু বছরে সরকারি দপ্তরের ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেওয়া হবে। বরাদ্দ করা হয়েছে ২০ কোটি টাকা।
এছাড়াও চলতি বছর থেকেই দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়া শুরু হয়েছে। সেই প্রকল্প প্রত্যেক বছর চলবে। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বরাদ্দ করেছেন ৯০০ কোটি টাকা।