খুব শীঘ্রই বাংলার মানুষ তৃণমূলকে রাম কার্ড দেখাতে চলেছেনঃ নরেন্দ্র মোদি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২১ এর নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলায় প্রচার শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর শুরুতেই রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করে একাধিক মন্তব্য করলেন তিনি। এমনকি শুধুমাত্র তৃণমূল নয়, প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় থাকলেন বাম এবং কংগ্রেসও।
রবিবার হলদিয়ার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মা গঙ্গার একপাড়ে রয়েছি। মা গঙ্গার উৎসস্থল উত্তরাখন্ড। সেখানে এখন চরম বিপদ। হিমবাহ ভেঙে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির খবর নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং এনডিআরএফ দলের সঙ্গে তিনি খবর নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডের জন্য পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা দেশের মানুষ প্রার্থনা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এপরেই প্রধানমন্ত্রী বাংলা ভাষায় বলেন, আমার প্রিয় মা, ভাই বন্ধুরা। আমি মেদিনীপুরের মাটিতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি। শহীদ মাতঙ্গিনী, ক্ষুদিরাম বসুর রক্তে রক্তিম হয়েছে এই ভুমি। এই মাটিতে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
এই মাটির বীর সন্তান বিদ্যাসাগর মহাশয় বাঙালিকে বর্ণপরিচয় দিয়েছে। সতীশ চন্দ্র সামন্তের হাতে তৈরি হয়েছে হলদিয়া বন্দর। মেদিনীপুরের মাটি গুনে আমরা মুগ্ধ।
আরও পড়ুনঃ হলদিয়ার জনসভা থেকে উত্তরাখণ্ডের জন্য প্রার্থনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজও বাংলায় দাঁড়িয়ে একটা প্রশ্নও করতে চাই। ব্রিটিশ শাসনের সময়েও পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিকশিত রাজ্য ছিল। সব দিকে এগিয়ে থাকা বাংলা এখন পিছিয়ে। বাংলায় উন্নয়নের সেই গতি থমকে গেল কেন? এতবড় বন্দর থাকা সত্ত্বেও অন্য রাজ্য কীভাবে এগিয়ে গেল প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আজকের বাংলা উন্নতি চায়, পরিবর্তন চায়। বাংলার এই পরিস্থিতির জন্য এখানকার রাজনীতি সবচেয়ে বেশী দায়ী। কংগ্রেস আমলে দুর্নীতি হয়েছে। বামেরা দুর্নীতির সঙ্গে অত্যাচার চালিয়েছে। সেই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে তৃণমূলকে মানুষ বেছে নিয়েছিল মানুষ।
পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতাদি। মানুষ তাঁর কোথায় বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু ১০ বছরে মানুষ নির্মমতা ছাড়া কিছু পাননি মানুষ। মমতার হাত ধরে বাংলায় বামেদের অত্যাচারের নীতিই নতুন করে জন্ম পেয়েছে। যারা মা-মাটি-মানুষের কথা বলেন তাঁদের কোনও আবেগ নেই।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নন্দীগ্রামে যারা গুলি চালিয়েছিল তাঁদেরকেই কেন জায়গা দিল তৃণমূল। ভোটের জন্য ফায়দা তুলছেন মমতা।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র সরকারের তরফে সকলকে টাকা পাঠানো হয়েছিল। সেই টাকা কি হয়েছে সকলেই জানে। আর সেখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এমনকি কেন্দ্রের রেশন মানুষের কাছে সঠিকভাবে দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছায়নি।
এছাড়াও কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত থেকে কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্দার আড়ালে তৃণমূল-বাম এবং কংগ্রেস সমঝোতা করছে। দিল্লিতে একসঙ্গে বসে রণকৌশল করছেন সকলে।
একেবারে মোদির সাফ বার্তা, খুব শীঘ্রই বাংলার মানুষ তৃণমূলকে রাম কার্ড দেখাতে চলেছেন। পিসি-ভাইপোর সরকার উৎখাত করার পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছেন বাংলার মানুষ।