বিজেপি নেতা রাজীবের প্রথম ডোমজুড়যাত্রায় দেখানো হল কালো পতাকা, “তৃণমূল হতাশা থেকে এসব করছে” মন্তব্য প্রাক্তন বনমন্ত্রীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এক দশকের বিধানসভা কেন্দ্র তাঁর। এখান থেকে ভোটে জিতেই বিধায়ক হয়েছেন তিনি, হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীও। অথচ সেই কেন্দ্রেই তাঁকে কিনা পড়তে হল কালো পতাকার মুখে।
আর সেই অস্বস্তি আরও বেড়েছে এই কারনেই যে যারা এদিন তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়েছে তাঁরা ১ মাস আগেও তাঁরই সঙ্গে ঘুরে বেড়াতেন। স্বাভাবিক ভাবেই মুহুর্তে এই ঘটনার খবর চলে এসেছে সংবাদের শিরোনামে।
কারন যাকে ঘিরে এই কালো পতাকা দেখানোর ঘটনা ঘটেছে সেই তিনি, রাজ্যের প্রাক্তনসেচ ও বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই তিনি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আর এদিনই তিনি ডোমজুড়ে গিয়েছিলেন পদযাত্রা করতে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিনই ছিল রাজীবের প্রথম ডোমজুড়যাত্রা। আর এদিনই সেখানে কালো পতাকা দেখলেন তিনি।
বিজেপি-তে যোগদানের পর রবিবারই প্রথমবার ডোমজুড়ে পা রাখেন রাজীব। আর পা রেখেই তিনি পড়লেন বিক্ষোভের মুখে। সেই সঙ্গে কালো পতাকা দেখানো হল তাঁকে। যদিও সেই সময় রাজীবের সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীরা পাল্টা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। তার জেরে রাজীবকে ঘিরে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনাও তৈরি হয়। তবে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
তৃণমূলে থাকাকালীন এই ডোমজুড়েরই বিধায়ক ছিলেন রাজীব। সম্প্রতি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই তিনি পদ্মশিবিরে নাম লিখিয়েছেন। তার পর এদিনই প্রথম ডোমজুড়ে পা রাখেন তিনি।
উত্তরাখন্ড বিপর্যয়ে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
অভয়নগর থেকে পঞ্চাননতলা পর্যন্ত দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে পদযাত্রায় অংশ নেন। কিন্তু সেখানেই তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। কার্যত রাজীব আসার আগে থেকেই তাঁর নামে কালো পতাকায় এদিন ছেয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা। একাধিক জায়গায় তাঁর ছবিতে জুতোর মালা পরানো হয়। এমনকি নানা পোস্টারও চোখে পড়ে। তাতে কোথাও লেখা ছিল, ‘বিশ্বাসঘাতক,’ কোথাও ‘ভাগ গদ্দার ভাগ’, কোথাও আবার ‘ভাগ মীরজাফর ভাগ’।
সকালে এলাকায় পৌঁছেই বিষয়টি নজরে পড়ে বিজেপি সমর্থকদের। কালো পতাকার পাশেই তৃণমূলের পতাকা থাকায়, জোড়াফুল শিবিরই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
বেলা বাড়তে সেই পরিস্থিতিতেই ডোমজুড়ে পা রাখেন রাজীব। কিন্তু পদযাত্রা শুরু হতেই হাতে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একদল মানুষ। তার পাল্টা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন রাজীবের সঙ্গীরা।
তার জেরে কয়েক মুহূর্তের জন্য পদযাত্রা থমকে গেলেও, কর্মীদের শান্ত করে ফের মিছিলে পা মেলান রাজীব। ভিড় ঠেলে এগিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের যোগসাজশ রয়েছে কি না জানতে চাইলে রাজীব বলেন, ‘হতাশা থেকে এ সব করা হচ্ছে। মানুষই জবাব দেবেন। আমরা রাজনৈতিক ভাবে জবাব দেব।’
কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কালো পতাকা দেখানোর সংস্কৃতি বিজেপির। আমরা এ সব করি না। এগুলো নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের চিন্তা ভাবনা। মোদী-শাহের উত্তরসূরিরাই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছেন। ওঁদের মধ্যে ভদ্র চিন্তা ভাবনা পাবেন না।’