পিঠ চাপড়ালেন মোদী, রাজীবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ইদানিং বর্ণময় রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি বনাম তৃণমূলের লড়াই যেন মামুলি বিষয়। এরই মাঝে রবিবার হলদিয়ায় এসে বঙ্গের নির্বাচনকে টার্গেট করেই প্রথম জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বিজেপির সেই তারকা খচিত মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সহ সদ্য বিজেপিতে আসা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

হলদিয়ার বিপুল জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী দেখা করলেন দুই নতুন সতীর্থ শুভেন্দু এবং রাজীবের সঙ্গে। একহাতে শুভেন্দু এবং অপর হাতে রয়েছেন রাজীব। তাঁদেরকে ঘিরে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা।

রাজীবকে কাছে নিয়ে ডেকে প্রধানমন্ত্রীর অভয়বাণী, একসঙ্গে কাজ করো। পিঠ চাপড়ে বললেন, উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে আরও বলো। লড়াই আরও জোরদার করো। সেই সঙ্গে পিঠ চাপড়ে তরুণ নেতা রাজীবকে আরও উদ্ধুদ্ধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা নতুন সদস্যদের জন্য অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেইসঙ্গে যেভাবে রাজীবকে আলিঙ্গন করে প্রধানমন্ত্রী কাছে টেনে নিলেন তাতে বিরোধী শিবিরের কাছে একটা স্পষ্ট বার্তা পৌঁছাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

কিছুদিন আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে দলবদলের জল্পনা একেবারে চরমে পৌঁছেছিল। তখন বিজেপির নীচু তলা থেকে শীর্ষ মহল অবধি মানুষের মুখে একটাই কথা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো স্বচ্ছ ভাবমুর্তি সম্পন্ন মানুষ বিজেপিতে গেলে আখেরে লাভ গেরুয়া শিবিরের হবে।

বিজেপি নেতা রাজীবের প্রথম ডোমজুড়যাত্রায় দেখানো হল কালো পতাকা, “তৃণমূল হতাশা থেকে এসব করছে” মন্তব্য প্রাক্তন বনমন্ত্রীর

একইভাবে তাঁকে ছাড়তে রাজি হয়নি তৃণমূল। রাজীবের মানভঞ্জনে বেশ কয়েক দফার বৈঠকে বসেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ অবধি ব্যর্থ হন।

জানুয়ারি মাসের একেবারে শেষে সমস্ত সরকারী পদ ছাড়ার পর তৃণমূলের সদস্যপদ ত্যাগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি।

এরপর অবশ্য বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে রাজ্যের শাসক দল। পাল্টা হুগলীর জনসভায় খোলা মঞ্চে শাসক দলের ‘প্যান্ডোরা বক্স’ খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজীব।

রবিবার সকাল থেকেই তাঁকে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে র‍্যালি করতে বেরিয়ে তৃণমূলের কালো পতাকা এড়িয়ে জনতার সঙ্গে রাজীবের সৌজন্য বিনিময় নিয়ে সকাল থেকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর তরফে প্রশংসা রাজীবকে আলাদা করে মাইলেজ দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট