বিধানসভার আগে কমিশনের আধিকারিক নিয়ে টানাপোড়েন, অবশেষে নির্বাচিত ৩
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন যখন কার্যত দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে ঠিক তখনই বাংলার তিন নির্বাচনী আধিকারিককে অপসারিত করে বড়সড় বার্তা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। অ্যাডিশনাল সিইও শৈবাল বর্মন, জয়েন্ট সিইও অনামিকা মজুমদার ও ডেপুটি সিইও অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্য্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের পদ থেকে।
কি কারণে এই তিনজনকে সরানো হয়েছে তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে সেই সময়ে কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। তবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে এই তিন দুঁদে আধিকারিকের বদলির ঘটনায় অনেকেই সেই সময় হতবাক হয়।
যদিও কমিশন এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি সেই সময়ে। এদিন সেই ৩জনের শূন্যস্থান পূরণ করে দিল কমিশন। ওই ৩ পদে নিয়ে আসা হয়েছে বিজিত ধর, অরিন্দম নিয়োগী এবং সৌরভ বারিককে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার(সিইও) দফতরের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে ওই ৩টি শূন্যস্থান পূরণের জন্য ৯ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল। আইন মেনে সেই নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছিল নবান্ন থেকে। সেখান থেকেই এদিন ওই ৩জনকে কমিশন বেছে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ৯ হাজারের কাছাকাছি, ইতিবাচক ইঙ্গিত বলছেন চিকিৎসকেরা
এর আগে যে ৩জনকে অপসারিত করা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে শৈবাল বর্মন এমসিসি অর্থাৎ মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট এবং আইন-শৃঙ্খলা দেখতেন। অনামিকা মজুমদার দেখতেন ইভিএম এবং ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ পর্ব। অমিত জ্যোতি ভট্টাচার্য দেখতেন মিডিয়া সেল এবং ভোটের প্রচার সংক্রান্ত সমস্ত কাজকর্ম।
রাজ্য সরকার যে ৯ জনের নাম পাঠিয়েছিল কমিশনের কাছে তার মধ্যে অ্যাডিশনাল সিইও পদের জন্য যে ৩টি নাম গিয়েছিল তা হল শিলাদিত্য বসু রায়, দেবল কুমার ঘোষ ও বিজিত ধর। কমিশন বিজিত ধরকে ওই পদের জন্য বেছে নিয়েছে। বিজিত ১৯৯২ সালের রাজ্য সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার।
জয়েন্ট সিইঅ’র জন্য যে ৩টি নাম পাঠানো হয়েছিল তার মধ্যে ছিল দেবকুমার নন্দন, শ্যামল মণ্ডল ও অরিন্দম নিয়োগীর নাম। কমিশন এক্ষেত্রে অরিন্দম নিয়োগীকে বেছে নিয়েছে। তিনি ১৯৯৪ সালের রাজ্য সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার।
আবার ডেপুটি সিইও পদে যে ৩জনের নাম পাঠানো হয়েছিল সেখানে ছিল অভীক চট্টোপাধ্যায়, সুনন্দ ভট্টাচার্য ও সৌরভ বারিকের নাম। কমিশন সৌরভ বারিকের নাম বেছে নিয়েছে। তিনি ২০০৫ সালের রাজ্য সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার।