রাসমেলার ময়দান থেকে রাজীবের চলো পাল্টাই স্লোগানে শীলমোহর শাহের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০২১-এ পরিবর্তনের পরিবর্তনকে অ্যাজেন্ডা করেই রাজ্যজুড়ে রথযাত্রার আয়োজন করেছে বিজেপি। আজ কোচবিহারে সেই রথযাত্রার উদ্বোধনে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে যেদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর স্লোগান তুলেছিলেন ‘চলো পাল্টাই’, আজ সেই স্লোগানেই শীলমোহর দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাজ্যের ২৯৪ টি কেন্দ্রে ঘুরছে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার রথ। আজ কোচবিহারের ঐতিহাসিক রাসমেলার ময়দানে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। এদিন রাসমেলার ময়দান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড।
উত্তরবঙ্গের ভোটবাক্সে রাজবংশীদের ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর। এদিন সেই রাজবংশীদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন অমিত শাহ। গোটা মাঠ ছিল জনসমুদ্র। উড়ছিল রাজবংশীদের পতাকা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন “২০২১-এ পরিবর্তন ঘটিয়ে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে তাদের প্রথম টার্গেট হবে কৃষক নিধি প্রকল্প চালু করা। এক মাসের মধ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সূচনা করা। চা বাগানের শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে এবারের বাজেটে যে টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার অতি দ্রুত তার বাস্তবায়ন করা।”
চা বাগানের শ্রমিকদের দিয়ে রাজনীতি আজ প্রথম নয়। যখনই শাসকের চেয়ারে যে দলই বসেছে তাদেরই তুরুপের তাস হয়েছে চা শ্রমিকরা। এদিন অমিত শাহ বলেন, “বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল কেউই চা শ্রমিকদের নিয়ে কোনদিন ভাবেনি। তাদের কোন উন্নয়নের কথাই চিন্তা করেনি কোন সরকার। তাই বিজেপি ক্ষমতায় এলে চা শ্রমিকদের সমস্ত রকম সমস্যা নিরসনের দায়িত্ব নেবে ভারতীয় জনতা পার্টি।”
গোটা সভার আদ্যোপান্ত নিশানায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাটমানি থেকে তোলাবাজি, রেশন নিয়ে দুর্নীতি থেকে গরুপাচার ও কয়লা পাচার সহ একাধিক ইস্যুতে শাসকশিবিরকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাম না করেই জনতার উদ্দেশ্যে বলেন “২০২১ এর পাশা উল্টে দিতে হবে। বুয়া-ভাতিজার সরকারকে উপড়ে ফেলে দিতে হবে। গোটা রাজ্যের দিকে দিকে পদ্ম ফুল ফোটাতে হবে। তাহলেই একমাত্র সমস্ত রকম দুর্নীতি এবং অবৈধ কাজকর্মের থেকে মুক্তি মিলবে। একই সঙ্গে প্রকৃত অর্থে উন্নয়ন কী সেটারও দেখা মিলবে।”
সভা শেষ করে দ্রুত মদনমোহন মন্দির পুজো দিতে যান তিনি। মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অমিত শাহ। মদনমোহনের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁর সুর ছিল চড়া। প্রতিশ্রুতি দিয়ে বললেন ক্ষমতায় এলে মদনমোহন মন্দিরকে বিশ্বমানের পর্যটন শিল্প কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে বিজেপি।
এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে উদ্দেশ্যে রওনা দেন অমিত শাহ। সেখানে সিএএ কার্যকর কবে করা হবে তা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।