রাজ্যসভার নিয়ম ভেঙেছেন দীনেশ ত্রিবেদী, চেয়ারম্যানকে চিঠি তৃণমূলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্ধারিত সময় ফুরিয়ে যাওয়ার পর কীভাবে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখলেন দীনেশ ত্রিবেদী? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিল তৃণমূল। সেইসঙ্গে সঠিক তদন্তের দাবী জানালেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়।
শুক্রবার তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন দীনেশ ত্রিবেদী। সেদিনেই এই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার অন্য সদস্য সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, ওই দিন রাজ্যসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনার জন্য তৃণমূলের দুই জন সদস্যের বক্তব্য রাখার কথা ছিল। সেইমতো ভাষণ দেন দুই সদস্য।
তৃণমূলের দুই সদস্যের বক্তব্যের পরেও আর সময় থাকার কথা নয়। কীভাবে সংসদে ভাষণ রাখার জন্য সময় পেলেন দীনেশ ত্রিবেদী। সেই নিয়ে সঠিক তদন্তের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখার পরিবর্তে ইস্তফা নিয়ে কীভাবে বক্তব্য রাখলেন দীনেশ ত্রিবেদী? প্রশ্ন টলেন সুখেন্দু শেখর রায়।
এর ফলে সংসদের উচ্চকক্ষের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা তদন্তের কথাও জানানো হয় চিঠিতে।
আরও পড়ুনঃ সেদিনের কথা ভোলার নয়, পুলওয়ামার ঘটনা স্মৃতিচারণ করে টুইট রাজনাথের
যেভাবে রাজ্যসভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে এভাবে ইস্তফা দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী? একইসঙ্গে চিঠিতে বলা হয়, সংসদের গ্যালারিতে নির্দিষ্ট আসন রয়েছে তাঁর। সেখান থেকে কোনও বক্তব্য না রেখে কাউন্সিল আসন থেকে বক্তব্য রাখলেন তিনি? সেই প্রশ্নও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। একইসঙ্গে প্রশ্নও উঠেছে ডেপুটি চেয়ারম্যানের ভুমিকা নিয়েও।
শুক্রবার রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার সময় দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, দলের মধ্যে দমবন্ধ লাগছে। নিজের অন্তরাত্মা কথা শুনেই ইস্তফা দিয়েছেন। এমনকি এর আগেও রেলমন্ত্রী থাকার সময় একই উপলব্ধি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওই দিন চেয়ারম্যানের চেয়ারে উপস্থিত ছিলেন হরিবংশ নারায়ন সিং। তিনি বলেন, ইস্তফা দেওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নিয়ম মেনেই চেয়ারম্যানের কাছে ইস্তফা দফিতে হবে তাঁকে।
সংসদে দাঁড়িয়ে দীনেশ ত্রিবেদীর ভাষণ নিয়ে সারা দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। ভোটের আগে তৃণমূল সাংসদের ইস্তফা ঘাসফুল শিবিরের জন্য বিড়ম্বনার কারণ বলে দাবী করেন অনেকেই। সেইসঙ্গে শুরু হয় বিজেপি যোগের জল্পনাও।