সংসদীয় মহাযুদ্ধে বামেদের অর্জুন ইয়েচুরি!
||শুভজিত চক্রবর্তী||
লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি চিন্তায় ফেলেছে বামেদের। মোদি সরকারের দ্বিতীয় পর্যায়ে দুই কক্ষতেই বাংলা থেকে বামেদের কোনও চিহ্ন নেই। ফলে সংসদের বাইরে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে ধারালো মন্তব্য পেশ করলেও, সংসদের ভিতর নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে বামেরা। এহেন সংকট থেকে মুক্তি পেতে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে এবার বাংলা থেকে রাজ্যসভায় আনতে চাইছে রাজ্য সিপি(আই)এম।
কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যসভার মেয়াদ ফুরিয়ে আসবে। নয়া অধিবেশনে বিধানসভার চারটি আসনে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও পঞ্চম আসন থাকছে বিরোধীদের ঝুলিতে। সেখানেই বাম কংগ্রেসের সমঝোতায় ইয়েচুরিকে রাজ্যসভায় আরও একবার রাজ্যসভায় দেখতে চায় বাংলার সিপি(আই)এম।
এর আগেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিরোধী শিবিরে ইয়েচুরির গ্রহণযোগ্যতা তাঁকেই এগিয়ে রেখেছে। দু’বারেই সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য রীতিমতো সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে।
আরও পডুনঃ মূল প্রাধান্য পাক চাকরী, নতুন বছরের বাজেটে দাবী যুব সমাজের
তবে এখানেও একটি বিষয়ে সংশয় রয়েছে। যেহেতু এই মুহূর্তে সিপি(আই)এমের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছে তিনি, সেক্ষেত্রে সংসদের যাত্রা ব্যাহত হতে পারে। তাছাড়া দু’বারের বেশী কাউকে রাজ্যসভার সদস্য করতে নারাজ সিপি(আই)এম।
তবে এই মুহূর্তে গোটা দেশের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তার কথা মাথায় রেখেই দলের লাইন বদলাতে চাইছে বাম শিবির।
চলতি অধিবেশনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, তিন তালাক এবং ৩৭০ ধারা এর মত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার সময় অনেকটাই পিছিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের।
বিরোধীদের বাক্যবাণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কোনমতেই কাবু করতে পারেনি। তার ওপর এনআরসি এবং এনপিআর ইস্যুতে লড়াই করে চলেছেন বিরোধীরা। কিন্তু এহেন অবস্থায় সরকার পক্ষকে রুখতে অর্জুনের ভূমিকায় ইয়েচুরিকে দেখতে চায় বামেরা।
গতবার বাংলা থেকে রাজ্যসভায় যান সিপি(আই)এমের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে তিনি নির্দল। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অভিষেক মনু সিংভি এবং প্রদীপ ভট্টাচার্যকে রাজ্যসভায় পাঠায় কংগ্রেস। এবারে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে উঠে এসেছে বেশ কিছু জনের নাম।
যদিও গোটা বিষয়টি রয়েছে হাইকম্যান্ড সোনিয়া গান্ধীর হাতে। সেক্ষেত্রে বিরোধী শিবিরে ইয়েচুরির নাম এলে সোনিয়া গান্ধীর অমত থাকবে না বলে মত রাজনৈতিক মহলের।