পুরাতন রোগের জন্যই মৃত্যু হয়েছে মইদুলের, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলছে এমনটাই ইঙ্গিত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মইদুলের দেহের ভিতরে এবং বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। বরং পুরাতন রোগের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়ার কোতলপুরের ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসছে সিএ তথ্য। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি চাকরী সহ একাধিক দাবীতে নবান্ন অভিযান করে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। মিছিল আটকাতে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। চলে লাঠিচার্জও। অভিযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জের কারণেই মৃত্যু হয়েছে মইদুলের। সিপি(আই)এম নেতা তথা চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম জানিয়েছিলেন, পুলিশের মারেই পেশিতে গুরুতর আহত হন মইদুল। সেকারণেই তাঁর দুটি কিডনি কার্যক্ষমতা হারায়।
সোমবার ময়নাতদন্তের পর মৃত ডিওয়াইএফআই কর্মীর দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দীনেশ মজুমদার ভবনে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কোতলপুরে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টা নাগাদ সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুনঃ পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে মইদুলকে! এই সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা- মন্তব্য বাম নেতা সুশান্ত ঘোষের
সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলে হচ্ছে মইদুলের শরীরে কোনও গুরুতর ঘাতের চিহ্ন নেই। তবে বাঁ পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আগেই থেকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে সমস্যা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও অবশ্য পুলিশের তরফে এমনই জানানো হয়।
মইদুলের মৃত্যুতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবী জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে সিপি(আই)এম। ময়নাতদন্তে পুলিশের বয়ান সঠিক নয়, জানাচ্ছে বাম নেতৃত্ব। পুলিশের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ, তখন পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক। তবে কি কারণে মৃত্যু? তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে মৃতের পরিবারের পাশে সরকার সর্বদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও এদিনের পর মৃত্যুর রিপোর্ট নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেল। তাই একাধিক অঙ্গের ভিসেরা রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই।