কিরণ বেদীর অপসারণ পুদুচেরির মানুষের জয়, দাবী মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চার বিধায়কের ইস্তফার পর টলমলে অবস্থা পুদুচেরির কংগ্রেস সরকারের। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে পুদুচেরির উপরাজ্যপাল পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় উপরাজ্যপাল কিরণ বেদীকে। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী অভিযোগ, রাজ্যে সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছিলেন কীরণ বেদী। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, কিরণ বেদীকে অপসারণের ফলে আসল জয় সাধারণ মানুষের হয়েছে।

উপরাজ্যপাল পদ থেকে অপসারণের পর উপরাজ্যপাল কিরণ বেদী জানিয়েছেন, আমার উপরাজ্যপাল পদ থাকার সময় যারা আমার সর্বক্ষন পাশে ছিলেন তাঁদেরকে এবং পুদুচেরির সমস্ত মানুষকে ধন্যবাদ।

মঙ্গলবার রাতেই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে কিরণ বেদীকে অপসারণের চিঠি পাঠানো হয়। গোটা ঘটনার মধ্যে বিজেপির রাজনৈতিক পদক্ষেপ রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের আগে কোনও অভিযোগ রাখতে চাইছেন না তাঁরা।

 

মঙ্গলবার রাতে উপরাজ্যপালের পদ থেকে কিরণ বেদীর অপসারণের পর মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী জানিয়েছেন, গত সাড়ে চার বছর ধরে কিরণ বেদীর অপসারণের দাবীতে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হন তিনি। অভিযোগ, পুদুচেরির বিজেপি নেতারা যা করতেন উপরাজ্যপাল পদে থেকে সেই কাজ করতেন তিনি।

গতবারের নির্বাচনে ৩০ জন বিধায়কের মধ্যে ১৫ জন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে ৩ জন ডিএমকে এবং ১ জন নিরপেক্ষ বিধায়কদের নিয়ে সরকার গঠন করা হয়। এই মুহুর্তে দুই পক্ষের বিধায়কের সংখ্যা ১৪-১৪। তাই টলমল অবস্থা কংগ্রেস সরকারের।

চার জনের ইস্তফার পর এখন পুদুচেরিতে বিধায়কের সংখ্যা ১৪ জন। কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা ১০ জন। কিছুদিন আগেই দুই বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে নাম্মাসিভায়ামকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে সামনে রেখে প্রচার করে কংগ্রেস। পরে নারায়ণস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।

চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে কেরল, অসম, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির নির্বাচন। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এবং পুদুচেরিতে বিশেষ নজর রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

সম্পর্কিত পোস্ট