ভোটযুদ্ধে তৃণমূলের নয়া হাতিয়ার, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বঙ্গ ভোটের আগে আরও এক বড় চমক তৃণমূলের। টিম পিকের নয়া প্রজেকশন ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। শনিবার তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই শ্লোগানের উদ্বোধন হল।
উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছিলেন দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনও।
আগেই বাংলার মানুষ তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরে পেয়েছিল বাংলার গর্ব মমতা এই ক্যাম্পেইন। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই, উন্নয়নের জন্য একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা, মানুষের জন্য কাজ করার উদ্যোগ সবকিছুকে সামনে রেখেই তাঁকে বাংলার গর্ব হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল।
এদিন আরও এক ধাপ এগিয়ে, আসন্ন নির্বাচনে বাংলার মানুষের পছন্দ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে কথা জোর গলায় ঘোষণা করা হয়।
তৃণমূল কংগ্রেস কেন এ কথা বলছে,তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা।বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বলতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন,তাঁর জীবন ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আপোসহীন সংগ্রামের প্রতিমূর্তি।
তাঁর মানবতা মন ছুঁয়েছে বাংলার প্রতিটি মানুষের। তাঁর সারল্য ও বন্ধুতা তাঁকে করে তুলেছে বাড়ির মেয়ে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলা এগিয়েছে প্রগতির পথে। তাই সোচ্চারে বলছেন সবাই – বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়!
আসলে তৃণমূলের এই স্লোগানের ভিতরে পরোক্ষে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বহিরাগত বনাম বাংলার ঘরের মেয়ের লড়াই। অতীতে তৃণমূল বিজেপিকে গুজরাটের পার্টি বলে তুলে ধরেছে। এমনকি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের বাংলা সফরকে ভোট ভ্রমণ বলে কটাক্ষ করেছেন।
তৃণমূল নেত্রী এমনও বলেছেন, বাংলা চালাবে বাঙালিরাই। এদিন তৃণমূলের নয়া স্লোগানে সেই আঞ্চলিকতাবাদ এবং মমতাকে বাংলার ভূমি কন্যা হিসেবে উপস্থাপনের প্রয়াস দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
স্লোগানের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী পদে যখন বিরোধিরা মুখ খুঁজে চলেছে আমাদের তখন একটাই মুখ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মানুষ তাঁকে আবারও গ্রাহণ করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’
আসলে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যতই রাজ্যে প্রচারে আসুন না কেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা কোনও মুখ কে এখনও তুলে ধরতে ব্যর্থ। আর গেরুয়া শিবিরের এই বিষয়টিকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত তৃণমূল। তাই পুঁজি করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকে।
আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রচারে আপচারই জায়গা পাচ্ছেন স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি, রবীন্দ্রনাথের মতো মনীষীরা। ভোট বাক্সে জয় পেতে প্রতিটি দলই জোর দিয়েছে বাংলা ও বাঙালির আবেগে। মনে করা হচ্ছে এ ক্ষেত্রেও বাংলা ও বাঙালির আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে স্লোগান তৈরি করেছে শাসক দল।