বাংলার গর্বকে কেউ যদি খর্ব করে থাকে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- ডানকুনির সভা থেকে রাজীবের ঝাঁঝালো আক্রমণ মমতাকে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচনে নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নির্বাচন কমিশনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন তাতে এটাই পরিষ্কার যে উনি হারার আগেই হার স্বীকার করে নিয়েছেন। ডানকুনিতে একটি জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই আক্রমণ শোনালেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিতে চেয়ে বলেন,যখন উনি পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী নেত্রীর ভূমিকায় ছিলেন তখন নির্বাচনের দফা বাড়ানো নিয়ে বারবার কমিশনের কাছে তদ্বির যদি কেউ করে থাকেন সেটা শাসকদলের নেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তথ্য উল্লেখ করে রাজীব বলেন, ২০১১ সালে ছয় দফায় ভোট হয়েছিল। ২০১৬ সালে মোট ৭ দফা ভোট ঘোষণা হয়েছিল। ২০১৯ সালে সাত দফা নির্বাচন হয়েছে। ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশন ৮ দফা ঘোষণা করেছেন। আর তাতেই উনি ভয়ে কাঁপছেন। কারণ উনি বুঝে গিয়েছেন আর ক্ষমতায় থাকবেন না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে রাজীব প্রশ্ন ছুড়ে দেন। “মাননীয়ার ভয়টা কোথায়? উনি উন্নয়ন করেছেন। মানুষের হয়ে কাজ করেছেন। তাহলে ভয় পাওয়ার তো কথা নয়।”

মুখ্যমন্ত্রীর মুখে খেলা হবে শ্লোগান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন রাজীব। ঝাঁঝালো বক্তৃতায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন উনি যখন নিজে বলছেন খেলা হবে, তাহলে আমরাও জানিয়ে দিতে চাই খেলা এমন হবে যে ২০২১ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার গঠন করবে। একইসঙ্গে তিনি এদিন সমালোচনা করেন এই মুহূর্তে তৃণমূল নেতৃত্বের বিভিন্ন কুকথার।

দুটি ফোন নম্বর ব্লক করে দেওয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপি বিধায়ক

শাসক দলকে আক্রমণ করে রাজীবের বক্তব্য খেলা হবে শ্লোগানের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা। যাতে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে না পারে সেটাই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজীবের প্রশ্ন, তিনি কী রক্তের হোলি খেলতে চাইছেন? নাকি নির্বাচনে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চাইছেন?

এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প বাংলার গর্ব মমতা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজীব। যেভাবে একের পর এক জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক ওপর শব্দ ব্যবহার করছেন তার চরম সমালোচনা করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর কথায় বাংলার গর্বকে কেউ যদি খর্ব করে থাকে তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক সভা থেকে তিনি যে অপশব্দের ব্যবহার করছেন বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে কোনোভাবেই তার সাযুজ্য রাখেনা। বাঙালীদের মাথা নিচু করে দিয়েছেন আপনি। এর আগেও অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। তারা কেউ এমন ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে অন্তত মনে পড়ে না, বলে এদিন মন্তব্য করেন রাজীব।

বুদ্ধবাবুর অপেক্ষায় ব্রিগেডের দিকে চেয়ে বাম কর্মী সমর্থকরা

উলনির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তাপ বাড়ছে রাজনীতির। ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের দিনক্ষণ। এখন অপেক্ষা শুধু প্রার্থী ঘোষণার। কোন রাজনৈতিক দল বাজিমাত করতে কাকে তুরুপের তাস হিসাবে কোথায় ব্যবহার করেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আমজনতা।

সম্পর্কিত পোস্ট